ইনসাইড বাংলাদেশ

‘সম্পাদক পরিষদের আপত্তি নিয়ে আলোচনা হবে মন্ত্রিসভায়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 30/09/2018


Thumbnail

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতীয় সংসদে সদ্য পাশ হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকে যে আপত্তি তোলা হয় তা নিয়ে মন্ত্রিসভার পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন ।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশ হয়। এই আইনটির কিছু ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে আপত্তি ওঠে সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে। আইনটির প্রয়োজনীয় সংস্কার চেয়ে বিবৃতিও দিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।

এরই ধারাবাহিকতায় সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সম্পাদক পরিষদের সদস্যরা।

বৈঠকের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনায় এ বিষয়টি উঠে এসেছে যে, সকলেই এ আইনের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন। তবে তারা যে ধারাগুলো নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। মন্ত্রিসভার আলোচনায় যে ‘টার্ম অব রেফারেন্স’ আসবে সেটি নিয়ে আমরা সম্পাদকদের সঙ্গে পরবর্তীতে আলোচনা করব।’

এর আগে সরকারের অনুরোধে মানবন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করে মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে সম্পাদক পরিষদ। সচিবালয়ে রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় শুরু হওয়া এই বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য সচিব আবুয়াল হোসেনও বৈঠকে অংশ নেন।

এরপর ‘বাক স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতার পরিপন্থি’ আইন প্রণয়নের প্রতিবাদে ২৯ সেপ্টেম্বর মানববন্ধনের কর্মসূচি দেয় সম্পাদক পরিষদ। পরে রাজপথে কর্মসূচিতে না নামার অনুরোধ জানিয়ে সম্পাদক পরিষদকে চিঠ দেন তথ্যমন্ত্রী। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি স্থগিত করে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয় সম্পাদক পরিষদ।

এই আইনের বিভিন্ন ধারা নিয়ে সাংবাদিকদের আপত্তি থাকলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। বরং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারাকে ভিন্নভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংযোজন করা এবং ঔপনিবেশিক আমলের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট-১৯২৩’ এই আইনের ৩২ ধারায় সংযুক্ত করায় তা গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।

সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের নেতৃত্বে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, প্রথম আলোর মতিউর রহমান, নিউ এইজের নরুল কবীর, মানবজমিনের মতিউর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নঈম নিজাম, যুগান্তরের সাইফুল আলম, কালের কণ্ঠের ইমদাদুল হক মিলন, ইনকিলাবের এ এম এম বাহাউদ্দীন, ঢাকা ট্রিবিউনের জাফর সোবহান, ইনডিপেনডেন্টের শামসুর রহমান, বণিক বার্তার দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, সমকালের মোস্তাফিজ শফিসহ আরও কয়েকজন এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে আইনটির বিষয়ে সম্পাদক পরিষদের সদস্য ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ‘আমাদের কাছে আইনটির কয়েকটি ধারা গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। আমরা আইনটি পুরোপুরি বাতিল চাইনি, আমরা চাই এটির প্রয়োজনীয় সংস্কার হোক। এই আইনের কিছু ধারা আছে বাকস্বাধীনতা, স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি। এই আইনের কিছু ধারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি ও সাংবাদিকতার নীতি পরিপন্থি। সেগুলোর বিষয়ে আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি।’

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭