ইনসাইড পলিটিক্স

কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 03/10/2018


Thumbnail

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সকল সরকারি চাকরির নিয়োগে কোনো কোটা না রাখার সুপারিশ অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। আজ বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এক দুই দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। কিন্তু এই প্রজ্ঞাপন কি বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়-এমন প্রশ্ন এরই মধ্যে তুলেছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকার অংশে ধর্ম, প্রভৃতি কারণে বৈষম্য বিষয়ে ২৮ ধারার (৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান-প্রণয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।’

আবার সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশেই সরকারি নিয়োগ-লাভে সুযোগের সমতা বিষয়ে ২৯ ধারার (৩) এর (ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশ যাহাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করিতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে তাঁহাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান-প্রণয়ন করা হইতে, রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।’

অনগ্রসর বলতে আমরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি, সমতলের আদিবাসী, নারী, প্রতিবন্ধী এরা হলো সমাজের অনগ্রসর অংশ। বর্তমানে কোটার ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে এদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারের কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত সংবিধানের মৌলিক অধিকারের ২৮ ও ২৯ ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেই মত দিয়েছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা মনে করছেন, শিগগিরই এ নিয়ে হয়তো আইনি লড়াই দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে মুক্তি যোদ্ধা কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় ছিল, যা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করাও হতে পারে। এছাড়া প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি ও সমতলের আদিবাসীদের পক্ষ থেকেও আদালতে বিষয়টি নিয়ে চ্যালেঞ্জ হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ

   



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭