নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 06/10/2018
প্রথমবারের মতো বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে পণ্য রপ্তানি হতে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রথম দফায় ২৫ হাজার ৩৫০ টন সার নেপালে রপ্তানি হবে। দক্ষিণ এশীয় চার দেশের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তির পর স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে পণ্য রপ্তানির বিষয়টি সম্ভব হলো।
সারের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স লিটমন্ড শিপিং লিমিটেড ও দেশ ট্রেডিং করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে সার মোংলা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আমদানি করা হবে। পরে তা স্থানীয়ভাবে মোড়কজাত করে বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহার করে নেপালে রপ্তানি করা হবে।
লিটমন্ড শিপিংয়ের ব্যবস্থাপক সৈয়দ মূর্তজা আলী বাপ্পী এ বিষয়ে বলেন, এমভি ঠেটো টোকজ থেকে সার খালাসের পর প্রাথমিকভাবে ছোট লাইটারেজ জাহাজে করে তা যশোরের নওয়াপাড়ায় আনা হবে। সেখান থেকে বেনাপোল রুটের মাধ্যমে ভারতের বীরগঞ্জ কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স হয়ে মালবাহী ট্রেনে করে এসব সার নেপালে পাঠানো হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে জাহাজের পুরো পণ্য খালাসের কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।
ভারত, ভুটান ও নেপাল বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহারের ট্রানজিট সুবিধার আওতায় মোংলা সমুদ্রবন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহার করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত আগে থেকেই ছিল। গতকাল শুক্রবার চীনের একটি বন্দর থেকে ২৫ হাজার ৩৫০ টন সার নিয়ে সেন্ট ভিনসেনের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ঠেটো টোকজের মোংলা বন্দরে নোঙর করার মাধ্যমে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
দেড় মাস আগে চীন থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটিতে আনা সারের আমদানি মূল্য ১ কোটি ১১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। এ সার ১ কোটি ৩২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৭০ টাকায় নেপালে রপ্তানি হবে বলে জানিয়েছেন দেশ ট্রেডিং করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী আমিনুর রশিদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ট্রানজিট সুবিধায় পণ্য আমদানি-রপ্তানির বিপরীতে কোনো শুল্ক আদায়ের সুযোগ নেই। তবে এসব পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে অবকাঠামো ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি সেবার জন্য মাশুল আদায় করার সুযোগ রয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭