ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কীভাবে নোবেল পেলেন তাঁরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 06/10/2018


Thumbnail

নারীদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এ বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন মানবাধিকার কর্মী নাদিয়া মুরাদ ও ধাত্রীবিদ্যা বিশারদ ডেনিস মুকওয়েজি। ৩৩১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে নোবেল কমিটি এই দু’জনকেই পুরস্কারের জন্য বেছে নেয়। যৌন সহিংসতা ও হয়রানির ব্যাপারে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা তৈরির আন্দোলন করে এ সম্মানে ভূষিত হন তাঁরা।

শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তদের মধ্যে একজন নিজে যৌন নিপীড়নের যন্ত্রণা সয়েছেন। আর অপর জন প্রায় দু’দশক ধরে নিপীড়িতদের যন্ত্রণা কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে দুই মহাদেশের এই নারী ও  পুরুষকে এভাবে শান্তি-সূত্রে গেঁথে দিল নোবেল কমিটি।

নোবেল কমিটির প্রধান বেরিট রিস-অ্যান্ডারসেন বলেন, ’ধর্ষণকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে তাদের প্রচেষ্টার জন্য দু`জনকে এই পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে।’

আইএস জঙ্গিদের হাতে তিন বছর বন্দি ছিলেন ২৪ বছর বয়সী ইরাকি তরুণী নাদিয়া মুরাদ। নোবেলের তালিকায় এই প্রথম কোনো ইরাকি নাগরিকের নাম উঠল। আইএসের হাতে যৌন নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন যে হাজার হাজার ইয়াজ়িদি নারী, তাঁদের অধিকার রক্ষায় নিরন্তর কাজ করে চলেছেন নাদিয়া।

উত্তর ইরাকের কোজো গ্রামে হামলা চালিয়েছিল আইএস জঙ্গিরা। উত্তর ইরাকের অনেক গ্রামের মতো এই গ্রামেও বাস করতেন মূলত ইয়াজ়িদি সম্প্রদায়ের মানুষ। গ্রামের পুরুষদের মেরে আর মেয়ে ও বাচ্চাদের বন্দি করে নিয়ে চলে যায় আইএস জঙ্গিরা। বালিকা থেকে বয়স্ক মহিলা, সবাইকে বানানো হয় যৌনদাসী। উনিশ বছর বয়সি নাদিয়াও ছিলেন সেই যৌনদাসীদের দলে। বন্দিদশার প্রথম দিকে এক বার  পালানোর চেষ্টা করেছিলেন নাদিয়া। তিন মাস পর ফের পালানোর সুযোগ পান নাদিয়া। আইএস ডেরা থেকে পালিয়ে কড়া নাড়েন একটা বাড়িতে। তাদের সাহায্যেই আইএস এলাকা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন নাদিয়া। আশ্রয় নেন উত্তর ইরাকের দুহোক শরণার্থী শিবিরে।

সেখানে থাকাকালীন তাঁর সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল বেলজিয়ামের এক সংবাদপত্রে। তার মাধ্যমেই পশ্চিমি দুনিয়া চিনে নেয় নাদিয়াকে। ২০১৬ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের শুভেচ্ছাদূত নির্বাচিত হন তিনি। তার কিছু দিন পরেই চলে আসেন জার্মানিতে। সেখান থেকেই ইয়াজ়িদি মহিলাদের মুক্তির জন্য নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন নাদিয়া।

নাদিয়া এই পুরস্কার ভাগ করে নিচ্ছেন শল্য চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েজির সঙ্গে। ডা. মুকওয়েজি গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের একজন গাইনোকলজিস্ট। কঙ্গোর বাসিন্দা, ৬৩ বছর বছর বয়সী ডেনিসকে ‘নিপীড়ন-ক্ষত মেরামতের সব থেকে অভিজ্ঞ ও দক্ষ চিকিৎসক’ বলে গণ্য করা হয়।

কঙ্গোর বুকাভুতে পানজ়ি হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চিকিৎসক ডেনিস মুকয়োয়েগের লড়াইটা নাদিয়ার থেকে অনেকটাই অন্য রকম। প্রায় ৮৫ হাজারেরও বেশি নিপীড়িতের চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করেছেন ডেনিস। কয়েক দশক ধরে চলা কঙ্গোর গৃহযুদ্ধের শিকার তাঁরা।

বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭