লিভিং ইনসাইড

দেরিতে বিয়ে থেকে নানারকম মানসিক সমস্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 10/10/2018


Thumbnail

বিয়ে করবে না করবে না বলে দিবা এরই মধ্যে জীবনের প্রায় ৩০ বছর কাটিয়ে ফেলেছে। পড়াশুনা শেষ করা, চাকরিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়াসহ নানা কারণেই সে বিয়েতে সম্মতি দিতে চাইতো না। এরই মধ্যে সম্পর্কে ভাঙন, উপযুক্ত পাত্র না পাওয়াও বিয়ের অনীহার অন্যতম কারণ। কিন্তু এখন সময় যতই যাচ্ছে, বয়স যতই বাড়ছে, বিয়ে নিয়ে বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ছে দিবা। সমাজের কাছ থেকে কটূকথা শুনতে হচ্ছে। পরিবার ও স্বজনরাও কথা শুনাতে বাদ রাখছে না। এসব চাপে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত দিবা।

আজকাল প্রায় সব শিক্ষিত মানুষই দেরিতে বিয়ে করার পক্ষে। কিন্তু দেরিতে বিয়ে করায় অনেক নারীকে নানাভাবে মানসিক চাপের মধ্যে পড়তে হয়, যার বেশিরভাগই আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপটে। অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।  

সমাজের চাপে আত্মবিশ্বাস চিড়

আমাদের যে সমাজ, তাতে সঠিক সময়ে বিয়ে না করলে আশপাশ থেকে অনেক ধরনের কথা শুনতে হয়। কখনোবা একটি মেয়ে সবার চক্ষুশূল হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। এতে করে অনেক নারীই নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে, ক্রমশ গুটিয়ে নেন সবার থেকে। এই কাজটি করা ঠিক নয়। কারণ জীবনটা আপনার। আপনাকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হবে।

বিষণ্ণতা তৈরি হতে পারে

যদি সমবয়সী বন্ধু-বান্ধবীদের বিয়ে হয়ে যায় তাহলে এই সমস্যাটা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর বিয়ের পর সবাই নিজের সংসার, পৃথিবী নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অন্যদিকে সময় দেওয়ার ফুসরত মেলে না। এই বন্ধুদের মধ্যে যার বিয়ে হয়নি সে কখনোবা একা আর বিষণ্ণ হয়ে যান। সেই বিষণ্ণতা থেকে হতাশার তৈরি হয়। নিজেকে কখনো কখনো অবাঞ্ছিত বা অযোগ্য মনে হতেই পারে।

নিজেকে অযোগ্য মনে করার প্রবণতা হতে পারে

আমাদের সমাজে বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রী দেখার চল এখনো আছে। এই প্রক্রিয়াটা অনেকের কাছে খুব অপমানজনক। কারণ সেখানে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর নিজেকে অযোগ্য মনে হওয়া স্বাভাবিক তাদের কাছে। কিন্তু মনে রাখা উচিৎ যে আপনাকে কারো পছন্দ হয়নি মানেই আপনি অযোগ্য নন। এমনটা মনে হলে সেক্ষেত্রে আয়োজন করে পাত্রী দেখার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া ভালো, এতে স্বস্তি পাওয়া যাবে অন্তত।

ভুল মানুষকে বেছে নেওয়ার প্রবণতা

অনেক নারীই ভুল মানুষটিকে বেছে নেন বিয়ের জন্য। যদিও ভুল বা সঠিক বিষয়ে বিষয়টি আপেক্ষিক। কিন্তু ক্রমাগত পারিবারিক ও সামাজিক চাপে পড়ে অনেক সময়েই নিজের গণ্ডির বাইরে, নিজের চেয়ে অন্য মানসিকতার মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে একটু সাবধানী হওয়াই ভালো। কারণ জীবন একটাই। এই একটা মানুষকে নিয়েই সারাজীবন কাটাতে হবে। তাই ভুল সিদ্ধান্ত নিলে যে সারাজীবন অশান্তিতে থাকতে হবে এটা আপনাকে বুঝতে হবে।

ঈর্ষান্বিত হওয়া

আপনার যে বন্ধুটির বিয়ে হয়ে গেছে, সে আপনাকে আগের মতো সময় দিতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক । কারণ সে নিজের সংসার নিয়েই ব্যস্ত ও সুখী। ঠিক এমন অবস্থাতেই নিজের ভেতরে ঈর্ষাবোধ হতে পারে আপনার। মনে হতে পারে তার সব আছে, আমার কেন নেই। এই সমস্যার সমাধান আপনি নিজেই করতে পারেন। নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করুনযে আপনি চাইলে এই সুসময়টা আপনারও আসতে পারে। তার জন্য অপেক্ষা করুন।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭