কালার ইনসাইড

তাঁরাও কিন্তু কম সাহসী নন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 12/10/2018


Thumbnail

বলিউডে একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রকাশ্যে এনে প্রশংসায় ভাসছেন নারীরা। অনেকেই তাঁদের সাহসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আবার এমন অনেক নারী অভিনেত্রী রয়েছেন, যাঁরা নিজেদের কুকীর্তির কথা অকপটে স্বীকার করে সাহসিকতায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। এমনই কয়েকজন ভারতীয় অভিনেত্রীর কথা জানা যাক-

সীমা সিং

ভোজপুরি সিনেমার অন্যতম সেরা আইটেম কন্যা বলা হয় সীমা সিং-কে। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪০০ ছবির আইটেম গানে তিনি অভিনয় করেছেন। তবে চলচ্চিত্রে কাজ পাওয়াটা তাঁর জন্য মোটেও সহজ ছিল না। একবার ভারতের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ছবিতে কাজ পেতে প্রযোজক পরিচালকদের কু প্রস্তাব পেতেন, তাতে সাড়াও দিতেন। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট এমন অনেকের সঙ্গেই তিনি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। আবার বলিউডেও তাঁর সঙ্গে অনেকের এমন ঘটনা ঘটেছে। তা সত্ত্বেও সেখানে তাঁর কাজ জোটেনি। কাস্টিং কাউচ নিয়ে যখন সবাই সরব, তখনই এমন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দেন সীমা সিং।

শার্লিন চোপড়া

খোলামেলা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শার্লিন চোপড়ার খ্যাতি রয়েছে বলিউডে। এ পর্যন্ত করা তাঁর সব চরিত্রই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। পর্দার মতো তিনি বাস্তবেও সাহসী। ২০১৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে চলচ্চিত্রে তাঁর সংগ্রামের বিষয়ে জানান, ‘চলচ্চিত্রে ৯৫ শতাংশ পরিচালক, প্রযোজকই যৌনতায় আসক্ত। তাঁদের কাছে কাজ চাওয়া মানেই ঘনিষ্ঠ হতে হবে। একটা সময় নিজেকেও ওই পথে সঁপে দিই, তাঁদের বিছানার সঙ্গী হই।’ এভাবেই এক সময়ের মিনা চোপড়া (তাঁর পারিবারিক নাম) হয়ে ওঠেন বলিউডের শার্লিন চোপড়া।

মুমাইত খান

আইটেম গানের জন্য মুমাইক খান যত টাকা নেন, অনেকে গোটা ছবিতে কাজ করেও এতো টাকা পান না। ‘মুন্নাভাই এমএবিএস’ ছবির ‘মরনে সে পেহলে জিনা সিখলে’ গানে নেচে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এই অভিনেত্রী। ‘হালচাল’ ছবির ‘লুট গ্যায়ে’ গানটিও বেশ হিট হয়েছিল। সর্বশেষ আলোড়ন তুলেছেন ‘রাউডি রাথোর’ ছবির ‘প্রীতম পেয়ারে’ গানটি। কাস্টিং কাউচ বিতর্কের সময়, চলচ্চিত্রে নিজের অবস্থান গড়তে কয়েকজন কর্তাব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করেছিলেন পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া দক্ষিণী এই অভিনেত্রী।

বিনা মালিক   

পাকিস্তানে মডেল ও উপস্থাপক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বিনা মালিক। এক সময় বলিউডে এসে বি-গ্রেডের কিছু ছবিতে অভিনয় করা শুরু করেন। কিন্তু খুব বেশীদিন টেকেননি। এখন নিজ দেশ পাকিস্তানেই তাঁর বসবাস। তবে ভারত ছাড়ার আগে এক বিবৃতিতে তিনি জানান, বলিউডের অনেক পরিচালক, প্রযোজকদের খুশি করার পরও পাঁচ বছরের বেশি টিকতে পারিনি। বিনার এমন বিস্ফোরক মন্তব্য অনেককেই বিস্মিত করে।

রাখি সাওয়ান্ত

বর্তমান সময়ে বলিউডে যৌনতা প্রদর্শনের রোল মডেল ধরা হয় তাঁকে। পর্দার মতো তিনি বাস্তবেও বেশ সাহসী। বেফাঁস মন্তব্য করে প্রায়ই খবরের শিরোনাম হন। মাঝে অ্যাডাল্ট ছবিতে নিজের নাম লেখানোর ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। কখনো অভিনয় না করলেও এখনো বেশ ভালভাবেই টিকে আছেন রাখি সাওয়ান্ত। আর এসব নাকি বলিউডের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারনেই হয়েছে। এমন স্বীকারোক্তি প্রায়ই দিয়ে থাকেন তিনি। শুধু তিনি একা নন। তাঁর মতে, বলিউডের অনেক তারকা অভিনেত্রীই এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন।

বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি            

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭