নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 16/10/2018
উঠতে, বসতে বা শুতে গিয়ে প্রায়ই টের পাচ্ছেন পিঠে ব্যথা পাচ্ছেন। কখনো ব্যথাটা টনটন করছে, আবার কখনো ব্যথাটা খিচে ধরে আছে। এতে আপনি কোনো কাজেই শান্তিই পাচ্ছেন না। ব্যথা থেকে বাঁচতে না জেনেবুঝে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন, ব্যথা কমছে আবার শুরু হচ্ছে। এই ভুল কাজ করবেন না। কারণ এই পিঠব্যথাই বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হতে পারে। তাই এই লক্ষণগুলো থাকলে আজই সাবধান হয়ে যান:
দ্রুত ওজন কমতে থাকলে
অতি দ্রুত অপ্রত্যাশিত ওজন হ্রাস কখনোই ভালো লক্ষণ নয়। এর সঙ্গে পিঠ ব্যথা থাকলে, এটি মেরুদণ্ডে টিউমারের একটি লক্ষণ হতে পারে। এই টিউমার কশেরুকাকে দুর্বল করতে পারে, যা ফ্র্যাকচার ও ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে এবং এটি স্পাইনাল কর্ডকে চাপে ফেলতে পারে। এর ফলে দুর্বলতা, মাথাব্যথা আর বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। আপনার পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে বা আপনি ধূমপায়ী হলে আরও সাবধান হয়ে যান। মেরুদণ্ডে কোনো টিউমার হলে সেখান থেকে ফুসফুস, স্তন, কিডনি ও প্রোস্টেট ক্যানসার ছড়িয়ে পড়তে পারে।
যদি প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না
আপনার পিঠ ব্যথার সঙ্গে ব্লাডার বা বাওয়েল ইনকন্টিনেন্স থাকতে পারে। এছাড়া দুর্বলতা বা পা, পেলভিস ও নিতম্বে অসাড়তা থাকতে পারে, যা মারাত্মক হতে পারে। এসব উপসর্গ কাউডি ‘ইকুইনা সিন্ড্রোম’ এর লক্ষণ হতে পারে। এই রোগে সাধারণত নিম্নস্থ মেরুদণ্ডে সম্পূর্ণ নার্ভ স্যাকের তীব্র চাপে হয়ে থাকে। এজন্য কোনো ইনফেকশন বা টিউমার দায়ী হতে পারে।
ব্যথা যদি আপনাকে রাতে জাগিয়ে তোলে
খেয়াল করলে দেখা যাবে, বিশ্রাম নিলে বিভিন্ন ক্ষয়জনিত পিঠ ব্যথা তুলনামূলকভাবে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু আপনার যদি ঘুমের মধ্যে প্রায়ই ঘুম ভেঙে যায় তাহলে বুঝবেন এটা দীর্ঘমেয়াদী কঠিন কোনো রোগের উপসর্গ হতে পারে। হতে পারে এটি আপনার পিছনের অংশে কোনো টিউমারের সৃষ্টি করেছে। এর ব্যথার সঙ্গে যদি ক্ষুধা কমে যাওয়া, জ্বর অথবা দুর্বলতা বা অসাড়তা থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
পাকস্থলীতে ব্যথা থাকলে
সাধারণ পিঠব্যথা কখনো কখনো পাকস্থলীতেও ব্যথা ছড়াতে পারে। আবার এমনটাও হতে পারে পিঠ ব্যথার উৎপত্তি হতে পারে পেট থেকে। অ্যাবডোমিনাল অ্যাওরটিক অ্যানিউরিজম পেটের রোগ এবং ব্যথার এমন একটি উপসর্গ যেটির ফলে পিঠের নিচের দিকেও তীব্র ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা বেশিমাত্রায় হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, পরীক্ষা করান।
পিঠে ব্যথার সঙ্গে খিচুনি
পিঠব্যথা যদি প্রতিনিয়ত হতে থাকে, ব্যথার কারণে যদি খিচুনির মতো সমস্যা হতে থাকে তাহলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনটা হলে আপনার প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তও যেতে পারে, সেক্ষেত্রে সাবধানে থাকুন। শুরুতেই রোগ নির্ণয় করা জরুরি। পাথর অপসারণ করা ছাড়া আর পথ থাকে না তখন।
আপনার অস্টিওপোরোসিস থাকতে পারে
যদি আপনার অস্টিওপোরোসিস থাকে এবং সঙ্গে পিঠ ব্যথা থাকলে কশেরুকাতে ফ্রাকচার বা ইনফেকশন থাকতে পারে। এটা সম্প্রতি কোথাও পড়ে যাওয়া, ভারী কিছু উঠানো বা বেশি জোরে কাশলে হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত নিজে থেকেই চলে যায়। আর তা না হলে স্থায়ী সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিজে নিজে কোনো ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতে হবে।
অসাড়তা থাকলে
স্পাইনাল কর্ড ড্যামেজ স্থায়ী প্যারালাইসিসের কারণ হতে পারে। এ কারণে আপনার পিঠ ব্যথা ও অসাড়তা (বিশেষ করে পায়ে) থাকলে সচেতন হন। এই অবস্থা বেশিদিন থাকলে নার্ভগুলো ইনজুরির মুখে পড়তে পারে। তা থেকে হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ নার্ভগুলোর প্যারালাইসিস। তাই পিঠ ব্যথাকে এড়ানোর কোনো উপায়ই নেই।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭