ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সৌদি বিভৎসতা: জীবিত অবস্থায় সাংবাদিককে কেটে টুকরো করা হয়!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 17/10/2018


Thumbnail

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে জীবিত অবস্থায় তাঁর শরীর কয়েক টুকরো করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। খাসোগির হাতে থাকা অ্যাপলের ঘড়ির রেকর্ডিং থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলে হয়েছে, খাসোগিকে টেনেহিঁচড়ে কনসাল জেনারেলের অফিস থেকে পাশের রুমের একটি টেবিলের কাছে নেওয়া হয়। সেখানেই তাঁর শরীর টুকরো টুকরো করা হয়। সেসময় মিনিট সাতেক তিনি জীবিত ছিলেন। অ্যাপল ঘড়ির অডিও রেকর্ডে তাঁর চিৎকার শোনা গেছে। চিৎকার বন্ধ করতে তাঁর শরীরে চেতনানাশক ইনজেকশন দেওয়া হয় এবং এর কিছুক্ষণ পর তিনি নীরব হয়ে যান বলে উল্লেখ করেছে সংবাদ মাধ্যমটি।

ডেইলি মেইল আরও জানিয়েছে, যখন খাসোগিকে টুকরো টুকরো করে কাটা হচ্ছিল তখন তাঁর চিৎকার কনস্যুলেটে থাকা ব্যক্তিরা শুনেছেন। যারা ওই ভবনটিতে ছিলেন তাদের কয়েকজন বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও দাবি করেছে ডেইলি মেইল।

গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেট থেকে নিখোঁজ হন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি। তিনি দেশটির রাজপরিবারের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে ছিলেন তিনি।

খাসোগি মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে কলামও লিখতেন। নিখোঁজ হওয়ার দিন তিনি তুর্কি বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিসকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন। সেখানে আগের বিয়ের তালাকের কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন খাসোগি। এরপর তিনি আর বের হননি বলে জানান তাঁর বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিস।

সৌদি রাজ পরিবার খাসোগিকে হত্যা করেছে বলে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে তুরস্ক। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তাঁকে খুন করার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও অভিযোগ দেশটির। তবে সৌদি সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭