ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রতিরক্ষা খাতে জার্মান নীতির বদল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 18/10/2018


Thumbnail

প্রতিরক্ষা নিয়ে জার্মান নীতিতে বদল হচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে জার্মানি যে সামরিক খাতকে অবজ্ঞা করেছে। দীর্ঘ কয়েক দশক পর আবার সেই সামরিক শক্তি অর্জনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে জার্মানি। ন্যাটো জোট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান অনীহার কারণে বহুদিন পর সামরিক খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে জার্মানি ।

গত দু’বছর ধরেই দেশটির সামরিক খাত জোরদার করার চেষ্টা করছেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন দের লেইন। প্রতিরক্ষা এবং সামরিক ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের খোলস থেকে বেরিয়ে জার্মানি আর দশটি বড় দেশের মত শক্তিশালী হতে চায়।

তবে ন্যাটো জোটের অন্য অনেক সদস্য দেশের সমান্তরালে পৌঁছাতে দেশটিকে আরও অনেক দূর যেতে হবে। প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়াতে হবে, চেষ্টাও আরো অনেক জোরদার করতে হবে।

নব্বই দশকের শেষ দিক থেকেই জার্মান সেনাবাহিনী শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা শুরু করছে। জার্মানির এই মনোভাব পরিবর্তনে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের ঘটনা বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় জার্মানির সেই মনোভাব আরও দৃঢ় হয়েছে।

সম্প্রতি লিথুয়ানিয়া-বেলারুশ সীমান্তে মোতায়েন ন্যাটো ইউনিটের নেতৃত্ব দিচ্ছে জার্মানি। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে জার্মানি ন্যাটোর দ্রুত মোতায়েন-যোগ্য টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্ব নিতে চলেছে। এদেরকে তারা সফলভাবে নেতৃত্ব দিতে পারা জার্মানির জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

ন্যাটোর ছোট সদস্য দেশ লিথুয়ানিয়াকে আশ্বস্ত করতেই এখানে সৈন্য মোতায়েন করেছে জার্মানি। লিথুয়ানিয়াতে ন্যাটো বাহিনীতে জার্মান সৈন্যদের সঙ্গে রয়েছে চেক, ডাচ এবং বেলজিয়াম সৈন্য।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর জার্মানি প্রতিরক্ষার জন্য প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো সামরিক জোটের ওপর নির্ভর করেছে। সৈন্য সংখ্যা, প্রশিক্ষণ, আধুনিক অস্ত্র, সামরিক বাজেটসহ সামরিক খাতে তেমন কোন উন্নয়নই হয়নি ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশ জার্মানির।

বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭