লিভিং ইনসাইড

আপনি যদি ভালো কিছু লিখতে চান…

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/10/2018


Thumbnail

আপনার মাথায় প্রায়ই লেখালেখির জন্য বিভিন্ন চিন্তাভাবনা, গল্প কিলবিল করতে থাকে। কিন্তু আয়োজন করে সময় নিয়ে লিখতে বসবেন, সেটা আর হয়না। অথচ আপনি জানেন লিখতে পারলে ভালো কিছুই হবে হয়তো। আপনাকে অনেকে বলেও যে আপনার লেখার হাত ভালো। কিন্তু লেখা ভালো হবে কি হবে না, আসল বিষয়টি ফুটিয়ে তুলতে পারবেন কি না, তা ভেবেই আর লেখার সাহস হয় না। এটা না ভেবে আপনি লিখুন, আর ভালো লেখার জন্য মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলো:  

শুরুতেই মনোযোগ আকর্ষণ

যে বিষয়টি আপনি যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চাইছেন,  বা ধরুন যে গল্পটি আপনি বলতে চাইছেন সেটি প্রথমেই মনে আনবেন না। লেখা শুরু করুন এমন বিষয় বা উদাহরণ দিয়ে যাতে পাঠকের মনোযোগটা প্রথমেই কেড়ে নেওয়া যায়। মানে তীক্ষ্ণ কোনো কিছু দিয়ে লেখা শুরু করবেন। তারপর আপনি যেটা বলতে চান, সেটা আস্তে আস্তে শুরু করবেন।

ছোট বাক্যে লিখুন

ছোট বাক্যে লেখার মানে এই নয় যে আপনি আপনার লেখার গুরুত্ব কমিয়ে ফেলছেন। সবই লিখবেন কিন্তু ছোট সহজ বাক্যে। সহজ ছোট বাক্যে লেখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা কেবলই স্টাইল নয়, মানুষের স্মৃতির কার্যকরীতার সঙ্গেও এর সম্পর্ক আছে। এটা সহজে পড়া যায়, মনোযোগ ভালো থাকে। কারণ একটি দীর্ঘ বাক্য বোঝা এবং মনে রাখার জন্য কিন্তু যথেষ্ট মনোযোগ দেওয়ার দরকার হবে। সেটা পড়ার মনোযোগ নষ্ট হয়।

একই সঙ্গে দীর্ঘ বাক্যও রাখুন

সবাই-ই বলে বেশি ভালো ভালো নয়। মানে কোনোকিছুই বেশি করা ঠিক নয়। সব কিছুতেই মাত্রা মেনে চলা ভালো। কাজেই আপনার লেখার বেশিরভাগ বাক্য ছোট হওয়া ভালো, কিন্তু পুরো লেখাটাই যদি কেবল ছোট বাক্যে লেখেন, সেটি পড়তে খুব একঘেঁয়ে হয়ে উঠতে পারে। সেটা নিশ্চয়ই আপনি চান না। তাই কিছু বড় বাক্যও লিখুন।

সুনির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহার

ছোট বাক্যে লেখা ছাড়াও কোন শব্দ ব্যবহার করছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যেসব বিষয় আপনি ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করেন- যেমন কোন গন্ধ, স্বাদ বা আপনার পা দিয়ে স্পর্শ করছেন এমন কিছু, সেসবের বর্ণনার ক্ষেত্রে একেবারে সুনির্দিষ্ট শব্দ চয়ন খুবই দরকার। পাঠকের মনে যেন আপনি সঠিক ছবিটি ফুটিয়ে তুলতে পারেন। সেই চেষ্টা রাখবেন সবসময়। যে দৃশ্যকল্প আপনি তৈরি করতে চান, এবং যে ভাষায় আপনি সেটি করতে চান, তারা যেন পরস্পরের উপযোগী হয়।

বিমূর্ত শব্দ ব্যবহার পরিহার

লেখালেখি করতে গেলে অনেক সময় নিজেকে জ্ঞানী প্রমাণ করা বা গল্পের খাতিরে কঠিন বিমূর্ত শব্দের ব্যবহার হয়ে যেতে পারে। অনেক জ্ঞানীগুণীরাও অনেক সময়ে এমন কিছু লিখে ফেলে। এ জাতীয় গুরুগম্ভীর শব্দ প্রচুর ব্যবহার করলে লেখা আড়ষ্ট হয়, ভারাক্রান্ত থাকে। সহজে কল্পনা করা যায় এমন কোন কিছু বা শব্দ দিয়ে দিয়ে আপনার লেখার বিষয়টি ফুটিয়ে তুলুন।

নিজের লেখা নিজেকে পড়ে শোনানো

লেখা শেষ করার পর সেটি সম্পাদনা-পুনর্লিখন যেমন জরুরি। তেমনি জরুরি সেটি নিজেই নিজেকে পড়ে শোনানো। এই কাজটি করলে দেখবেন যে আপনার লেখায় কোথায় অসঙ্গতি আছে, কোথায় পরিমার্জন দরকার। কোথায় লেখাটির ছন্দপতন ঘটেছে সেটিও আপনার নজরে আসবে।

শেষ করবেন যেভাবে

লেখার সমাপ্তি টানুন এমন কোন শব্দ বা বাক্যে, যাতে সেটা পাঠকের মনে একটা শক্ত ছাপ রাখতে পারে। আপনার লেখার এই শেষ শব্দগুলোই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই সেই শব্দগুলো খুব ভেবে-চিন্তে ব্যবহার করুন।

সূত্র: বিবিসি

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭