চরম বিশৃঙ্খলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে জাপার মহাসমাবেশ

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয়েছে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ। সকাল পৌনে ১১টার দিকে কোরান তেলওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। তবে শুরু থেকেই চরম বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে এই সমাবেশে।

সকাল ১০ টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও ৯টা থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী-সমর্থকরা আসতে শুরু করেন। সেসময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ভরে যায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীতে।

এর আগে ভোর থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে বাস বোঝাই করে নেতাকর্মীরা রাজধানীতে আসতে থাকেন। এতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের রাস্তায় সকাল থেকেই যানজটের সৃষ্টি হয়।

শুরুতেই সঙ্গে আনা প্রতীক লাঙ্গল ও সমাবেশস্থলে থাকা চেয়ার ছোড়াছুড়িতে বিশৃঙ্খলতা শুরু হয়। এসময় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়। একপর্যায়ে তারা সঙ্গে আনা লাঙ্গল প্রতীক একে অন্যের দিকে ছুঁড়ে দিতে থাকেন, সমাবেশস্থলের চেয়ারও ছোড়াছুড়ি করেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এর মধ্যে একজন মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এদিকে, জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত সম্মিলিত জাতীয় জোটের অন্যতম শরিক দল খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরাও যোগ দিয়েছেন এই মহাসমাবেশে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগ দেয়। এসময় তাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মাঝেও বাকবিতণ্ডা হয়। এছাড়া, মহাসমাবেশ ঘিরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চও দখল করে নেন খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা। মঞ্চের সামনের অংশও তারা দখল করে রাখেন। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়।

এদিকে, এখনও সমাবেশস্থলে উপস্থিত হননি পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। এছাড়া পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ সিনিয়র অনেক নেতাও পথে রয়েছেন। তবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুসহ দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং দলীয় সংসদ সদস্যরা এরই মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন সমাবেশে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসমাবেশ থেকে আগামী নির্বাচন, জোট গঠনসহ রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন সাবেক  রাষ্ট্রপতি এরশাদ। পাশাপাশি তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নানান দিক-নির্দেশনা দেবেন।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভামঞ্চ পরিদর্শন করেন জাপা মহাসচিব। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন মহাসমাবেশে সারাদেশ থেকে লাখ লাখ জনতা যোগ দেবে। এই সমাবেশ হবে আগামী রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট। এই সমাবেশ থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশবাসীকে নতুন বার্তা দেবেন।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ