ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর ৫ উপায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/10/2018


Thumbnail

বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। মেরু অঞ্চলে বরফের স্তর পাতলা হয়ে আসছে। জলবায়ু বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়তই এ সতর্কবার্তা দিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বে তাপমাত্রার এ বিপজ্জনক বৃদ্ধি এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। জাতিসংঘের বৈশ্বিক উষ্ণতা বিষয়ক গবেষণায় দেখা যায়, আমাদের গ্রহটি ১২ বছরের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধির চূড়ান্ত সীমা ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস অতিক্রম করতে পারে। যেটা কিনা প্রাক-শিল্পযুগের মাত্রার থেকেও বেশি।

বিশ্বের এই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবদান রাখতে পারেন আপনিও। সত্যিকার অর্থে প্রত্যেকের একক প্রচেষ্টা বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাসে বড় ধরণের ভূমিকা রাখতে সক্ষম। প্রতিদিনের জীবন থেকে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর এমন ৫টি উপায় নিচে তুলে ধরা হল:

গণপরিবহন ব্যবহার করুন

বেশী বেশী যান ব্যবহারে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ বেড়ে যায়। কাজেই ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের পরিবর্তে হাঁটা, সাইক্লিং বা গণ পরিবহনের ব্যবহার করুন। এটি আপনাকে ফিট রাখতেও সাহায্য করবে। দূরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে উড়োজাহাজের পরিবর্তে বৈদ্যুতিক বাহন ব্যবহার করুন বা সম্ভব হলে ট্রেন যাত্রাকে বেছে নিতে পারেন। সরাসরি ভ্রমণ না করে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ব্যবসায়িক যোগাযোগ রক্ষার দিকে জোর দিন।

শক্তির অপচয় রোধ করুন

শক্তির অপচয় রোধ করে শক্তি সঞ্চয় করার চেষ্টা করুন। চাইলে, ওয়াশিং মেশিনে কাপড় শুকানোর কাজ মেশিনের টাম্বেল ড্রায়ারে না করে, বাইরের রোদে বা বাতাসের মধ্যে দড়িতে মেলে দিন। এতে কাপড় শুকানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। ঘরকে ঠাণ্ডা করতে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা এর চাইতে বাড়িয়ে রাখুন আর ঘর গরম করতে হিটারের তাপমাত্রা কমিয়ে ব্যবহার করুন। শক্তি সঞ্চয় করতে সক্ষম এমন ধরনের ইলেক্ট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারেন।

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন

তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সাহায্য করুন। ফল, শাকসবজি প্রভৃতি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন ঘটায়। কাজেই খাদ্যাভ্যাসে মাংসের পরিবর্তে সবজি এবং ফলের ওপর নির্ভরতা বাড়ান। যদি এটি খুব চ্যালেঞ্জিং মনে হয়, তাহলে সপ্তাহের অন্তত একদিন মাংস না খাওয়ার চেষ্টা করুন। দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া কমিয়েও আপনি পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারেন।

প্রতিটি জিনিস পুনর্ব্যবহারের চেষ্টা করুন

রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহারের সুবিধা সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই জানি। বলা হয়, কোন বস্তুকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করতে যে উপকরণ লাগে সেটার পরিবহন এবং প্রক্রিয়াকরণে প্রচুর পরিমাণে কার্বনের ব্যবহার হয়।তারপরও এটি নতুন পণ্য তৈরির চেয়ে কম শক্তি ব্যবহার করে। তবুও এটি নতুন পণ্য তৈরির চেয়ে কম শক্তি ব্যবহার করে। এছাড়া পণ্য পুনঃব্যবহারের ফলে আরও নানা ক্ষয়ক্ষতি কমানো যেতে পারে। পানির ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য।

জনসচেতনতা তৈরি করুন

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে অনেকেই সচেতন নয়। এ জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা সৃষ্টির। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি সবদিকে ছড়িয়ে দিন এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশি করে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করুন। সবাই এক সঙ্গে উষ্ণতা কমানোর লক্ষ্যে কাজ করলেই এ ধরনের সমস্যার সমাধান সম্ভব। সকল পরিবর্তনগুলো যখন কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন অনুশীলন করবে, তখন তারা তাদের কল্যাণে প্রায় কোনো রকম প্রভাব ফেলা ছাড়াই বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানো সম্ভব হবে।

বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭