নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 22/10/2018
প্রযুক্তির কল্যাণে এখন অনেক এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রযুক্তির আশির্বাদ এসে পড়েছে মানুষের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে পরিবহন ব্যবস্থাতেও। ইন্টারনেটের বদৌলতে টিকেট কাটতে এখন যেমন আর স্টেশনে যেতে হয়না, তেমনি মানুষ ঘরে বসেই এক ক্লিকে স্বল্প দূরত্বে যাওয়ার জন্য পরিবহণের ব্যবস্থা করে ফেলতে পারে বিভিন্ন অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের ফলে।
রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট, জ্যাম, স্বল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পাঠাও, উবার, ওভাই, সহজের মত রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলো। রিকশায় গেলে সময় বেশি লাগে, বাসে ওঠা নানান ঝক্কি-ঝামেলাময়, জ্যামে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয়, আবার যেখান থেকে খুশি সেখান থেকে কল দিলেই পাওয়া যায় এসব কারণে মোটরসাইকেলভিত্তিক রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলোতে ঝুঁকছে তরুণরা।
যত ব্যবহার বাড়ছে দিনদিন ততই রাজধানীতে বেড়েই চলেছে মোটরসাইকেলের সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুকির শংকা। মোটরসাইকেলে ওঠার আগে অবশ্যই নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে হেলমেট পরিধান করা জরুরি। অ্যাপভিত্তিক কোম্পানিগুলো চালক এবং যাত্রী উভয়ের জন্যই সেই হেলমেটের ব্যবস্থা করছে। কিন্ত বিপত্তিটা সেখানেই! যাত্রীদের জন্য সরবরাহকৃত হেলমেট অত্যন্ত কমদামী ও নিম্নমানের। প্লাস্টিকের এসব হেলমেট মাথায় চাপিয়ে হাত দিয়ে ধরে বসে থাকতে হয় কখন যেন খুলে পড়ে এই চিন্তায়।
সাধারণ যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে এসব হেলমেট পড়ে তীব্র হতাশা এবং ক্ষোভ নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। তাদের প্রশ্ন অ্যাপভিত্তিক কোম্পানি গুলো যদি তাদের নিরাপত্তা না`ই দিতে পারে তবে এই হেলমেটের প্রয়োজন কি?
এসব অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেল চালকদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাদের অনেকাংশের দাবি, হেলমেটগুলো কোম্পানিই সরবরাহ করছে। যাত্রীদের হেলমেটের নিম্নমান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে তারাও ব্যাপারটির সঙ্গে একমত হন। এসময় তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়াকড়ির কথা উল্লেখ করে বলেন, ` যে হেলমেটগুলো দেওয়া হচ্ছে সেগুলো আসলে যাত্রীদের কোনো নিরাপত্তাই দিতে পারছে না। এখন পথেঘাটে সার্জেন্টের অনেক কড়াকড়ি। তাই কোম্পানি এসব হেলমেট দিচ্ছে।`
যেখানে মানুষ সময় বাচাতে, একটু স্বাছন্দে গন্তব্যে যেতে এসব অ্যাপভিত্তিক সেবাগুলো বেছে নিচ্ছে তখনই তারা নিজেদেরকে হেলমেট নামক নিজেকে বাচানোর নিরাপত্তা সামগ্রীর বদলে মোটরসাইকেল চালকের মামলা বাচানোর ঢাল মাথায় চেপে নিচ্ছে। পুলিশ মাথায় যাত্রী ও চালক উভয়ের মাথায় হেলমেট দেখে অবাধে এসব যান চলাচল করতে দিচ্ছে, কিন্ত যাত্রীদের নিরাপত্তার দিকটা দেখবে কে?
বাংলা ইনসাইডার/এসআর/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭