কালার ইনসাইড

তারকাদের ‘না’ বলা, না মানে না?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 23/10/2018


Thumbnail

আমাদের তারকারা বিভিন্ন সময় কঠিন কঠিন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। সেসব সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও দিয়ে দেন। যেমন শিল্পী সিদ্ধান্ত নেন, আমি আর গান গাইবো না। অভিনয়শিল্পী বলেন, আমি আর অভিনয় করবো না। কাউকে অপছন্দ হলে তাঁর সঙ্গে আর কাজ করব না, ইত্যাদি ইত্যাদি। এ নিয়ে তাঁরা তাঁদের নেওয়া সিদ্ধান্তের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তিও তুলে ধরেন। কিন্তু তারা যে এই সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেন, এমন কিন্তু নয়। একজন শিল্পী কখন কাজ করবেন আর কখন করবেন না, সেটা একেবারেই তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েও তারা রাখতে পারে না বলে পরে হয় সমলোচনা। 

আইয়ুব বাচ্চু: ‘লুটতরাজ’ ছবিতে ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’ গানটি গেয়ে আইয়ুব বাচ্চু বাংলা চলচ্চিত্রে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। সিনেমার জন্য গাওয়া এটাই প্রথম ছবি। এরপর বাচ্চুর গান মানেই সেই সিনেমা ব্যবসাসফল। ‘আম্মাজান’ ছবি ছিল তার জ্বলন্ত প্রমাণ। কিন্তু হঠাৎ করেই আইয়ুব বাচ্চু ঘোষণা করলেন, তিনি আর সিনেমায় গান গাইবেন না। এ নিয়ে কত কথা, পেপার পত্রিকায় নিউজের ছড়াছড়ি। বাচ্চু নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিলেন, তিনি আর বাংলা সিনেমায় গান করবেন না। অথচ বছর দুই পরেই পি এ কাজলের ‘অন্তরে আছো তুমি’ ছবিতে বাচ্চু গান করলেন। তাহলে এই ঘোষণা দেওয়ার মানে কী? এরপর আরও অনেক চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন।

শাকিব খান-অপু বিশ্বাস: ঘটনা কিন্তু আগেও ঘটতো। মানে প্রেমের বাধন ছিড়ে যাওয়ার ঘটনা। এ জুটির ছবিগুলো বেশ ভালো ব্যবসা করছিল। হঠাৎ একদিন শাকিব খান তাঁর বাসায় সাংবাদিকদের ডাকলেন। অপুর বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ তুললেন। রাতারাতি কয়েকটি ছবি ছেড়ে দেওয়ারও ঘোষণা করলেন। মাত্র ২৪ ঘণ্টা শাকিব তাঁর এই সিদ্ধান্তে অটল থাকার পর নিজেই বললেন, তিনি ভুল করতে যাচ্ছিলেন। কি এমন হয়েছিল, সাংবাদিকরা সে প্রশ্নের উত্তর যখন খুঁজছিলেন। তখন তিনি বললেন,‘ আসলে তখন আমার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। আমাকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল। আমি জানি, হুট করে গণমাধ্যমের কাছে এমনভাবে বলা ঠিক হয়নি। তবে ভুল থেকেই মানুষ অনেক কিছু শিখতে পারে। কথাগুলো বলেছিলাম আবেগের বশবর্তী হয়ে। তবে ব্যাপারটাকে খুব বেশি দূর গড়াতে দিইনি। আমরা আবার এখন একসঙ্গে কাজ করছি।’ এরপর তো আবার সিনেমা, প্রেম, বিয়ে, সন্তান ও ডিভোর্স।

আসিফ আকবর: জনপ্রিয়তার তুঙ্গে কণ্ঠশিল্পী আসিফ। রাজনীতিতেও নাম লেখালেন তখনকার ক্ষমতাসীন বিএনপিতে। হঠাৎ আসিফ ঘোষণা দিলেন তিনি আর গান করবেন না। কতজনের মিনতি-আসিফ, তুমি তোমার কথা ফিরিয়ে নাও। অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা পর্যন্ত আসিফকে বোঝাতে গেলেন, কিন্তু আসিফ জানিয়ে দিলেন, আর তিনি গান গাইবেন না। বেশকিছুদিন কেটে গেল এভাবে। হঠাৎ শোনা গেল কুমিল্লার এক অনুষ্ঠানে গাইছেন। এরপর আসিফকে দেখা গেল টেলিভিশনে সরাসরি গান করতে। এরপর আবার রেকর্ডিংয়ে। এখন তো সেই আসিফ গান নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত।

মৌসুমী: ২০০৭ সালে মৌসুমী সংবাদপত্রে জানালেন তিনি চলচ্চিত্র নিয়ে বিদায় জানাবেন। বললেন, তিনি অন্য এক জীবনের সন্ধান পেয়েছেন। অভিনয় করতে করতে তিনি বাচ্চাদের সময় দিতে পারছেন না। তাই তিনি অভিনয়কে বিদায় জানাচ্ছেন। মৌসুমীর কথা শুনে আঁতকে ওঠেন নির্মাতারা। মৌসুমীকে সবাই বোঝালেন। তাঁর স্বামী ওমর সানী বললেন, ‘আমি চাই মৌসুমী এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুক।’ কিন্তু মৌসুমীর একই কথা। অভিনয় আর নয়। তবে তিনি বলেছিলেন, পরিচালনার কাজটা করবেন। কিন্তু কী মনে করে মৌসুমী আবার ফিরে এলেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ছবি দিয়ে মৌসুমীকে আবার দেখা গেল। এরপর চাষী নজরুল ইসলামের দুই পুরুষ ছবিতে মৌসুমী অভিনয় করলেন। করলেন দেবদাস। মৌসুমী এখন বছরে কয়েকটি ছবির কাজ করছেন। এইতো গত সপ্তাহেও তার একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।

পূর্ণিমা: বিয়ে নিয়ে নানা রকম সমালোচনায় যখন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছিলেন পূর্ণিমা, ঠিক তখনই জানিয়ে দিলেন, ভালোবেসেই তিনি ফাহাদকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। তিনি আরও বললেন, বিয়ের পর তিনি শুধু সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চান। তাই তিনি আর অভিনয় করবেন না। নির্মাণাধীন ছবিগুলোর কাজ শেষ করা হলো ঝটপট। ধুমধাম করেই বিয়ে হলো। তবে তিনি আবার সিনেমার জগতে ফিরে এলেন। একটার পর একটা ছবি হাতে নিলেন। সংসার ও অভিনয়- দুটোই একসঙ্গে চলছে। হয়তো বড় পর্দায় নেই। ছোটপর্দায় ঠিকই অভিনয় করেতে দেখা যায়। নতুন একটি সিনেমাতেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

সারিকা: বিয়ে করে ঘোষণা দিয়েছিলেন আর অভিনয় করবেন না। ফের দেখা যাচ্ছে অভিনয়ে। অবশ্য ডিভোর্স দিয়ে অভিনয় করতে হয়েছে।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭