নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 25/10/2018
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অজানা আতঙ্কে ভুগছেন বিনিয়োগকারীরা। যার প্রভাব পড়ছে দেশের শেয়ারবাজারে। চলতি সপ্তাহেই বড় দরপতনে পড়ে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩০ পয়েন্ট কমে সর্বনিম্নে নেমে গেছে। গত ২১ মাসের মধ্যে এটাই শেয়ার বাজারের সর্বনিম্ন দরপতন।
নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তায় প্রায় এক বছর ধরেই নিম্নমুখী প্রবণতায় রয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। গত ১১ মাসের মধ্যে মাত্র তিনটি মাসের শেষে সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়। ২০১৮ সালে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬ শতাংশ কমেছে ডিএসইএক্স। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস ৩০ কমে গেছে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ।
চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রথম দুই সপ্তাহে সূচক কিছুটা বাড়তে শুরু করেছিল। তখন বিনিয়োগকারীরা আশা করছিলেন, বছর শেষে সূচকের হারানো পয়েন্ট হয়তো পুনরুদ্ধার করা হবে। কিন্তু হয়েছে তাঁর উল্টোটা।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি কোনোভাবেই নেতিবাচক নয়। সামষ্টিক নির্দেশক, করপোরেট মুনাফা, তারল্যপ্রবাহ সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক খবর আসছে। অর্থনীতির সামষ্টিক ট্রেন্ড, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আয় সবকিছুই ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। তার পরও সূচকের পতন থামছে না।
শেয়ারবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে পাওয়া প্রায় হাজার কোটি টাকার তহবিলও বাজারে বিনিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ডিএসইর সদস্যরা। এমন পরিস্থিতিতে এ দরপতন কোনোভাবেই যৌক্তিক মনে করা হচ্ছে না।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, নির্বাচন এগিয়ে আসছে। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোনোভাবেই এত নেতিবাচক নয়, যা অর্থনীতিকে আর শেয়ারবাজারকে প্রভাবিত করতে পারে। বিনিয়োগকারীরা এক ধরনের অজানা আতঙ্কে ভুগছেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭