ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ: গাজীপুর- ৫ আসন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 27/10/2018


Thumbnail

সামনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ এই সময়টাতে স্বস্তিতে নেই আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড। কারণ মনোনয়ন পাওয়াকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার দলীয় সভায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কার করার হুশিয়ারিও ব্যক্ত করেছে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। কিন্তু তবুও এত সহজে দ্বন্দ্ব নিরসন হবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আওয়ামী লীগের নেতাদের অন্তর্কোন্দলে জর্জরিত এমনই একটি আসন হচ্ছে গাজীপুর-৫ আসন।

গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা, গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৩৯, ৪০, ৪১ ও ৪২ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত গাজীপুর- ৫ আসনটি জাতীয় সংসদের ১৯৮ নং আসন। এই আসনের ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২ হাজার ৪৭৮ জন।

গাজীপুর-৫ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১ সালের ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রয়াত ডাক্তার আসফার হোসেন মোল্লা। এরপর ১৯৯৬ সালের ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক ভিপি ও গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান। তিনিও আওয়ামী লীগের নেতা। অবশ্য ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেন বিএনপির একেএম ফজলুল হক মিলন।

এবার গাজীপুর-৫ আসনে মনোনয়ন পাওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মূল দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে বর্তমান এমপি মহিলা ও শিশু-বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এবং এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আখতারুজ্জামানের মধ্যে।

এই উদ্দেশ্যে আখতারুজ্জামান ইতিমধ্যেই এলাকায় গণসংযোগ ও শো ডাউন শুরু করেছেন। কিন্তু গত ১০ বছর ধরে নিজ এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তেমন একটা সম্পৃক্ত না থাকার পরও আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে আখতারুজ্জামানের এলাকায় নির্বাচনী সংযোগ বা শো-ডাউনকে সহজ ভাবে মেনে নিতে পারছেন না মেহের আফরোজ চুমকির অনুসারীরা। চুমকির অনুসারীরা বলছেন, প্রতি বছর শহীদ ময়েজ উদ্দীনের স্মরণসভা ছাড়া প্রতিমন্ত্রীর কোনো সভাসমাবেশেও উপস্থিত ছিলেন না আখতারুজ্জামান।

এছাড়া দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় পর্যায়ে ও দলে আধিপত্য বিস্তার, ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নসহ নানা ক্ষেত্রেই তাঁদের দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা গেছে। গত ইউপি নির্বাচনে কয়েকটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী পরাজিত হওয়া আবার জোর খাটিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীকে পরাজিত করা, দলের কমিটিতে স্থান পাওয়া-না পাওয়া, এসব বিষয় নিয়েই ভেতরে ভেতরে অনেক আগে থেকেই  দ্বন্দ্ব ছিল ওই দুজন নেতা ও তাঁদের অনুসারীদের মধ্যে যা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সর্বশেষ শহীদ ময়েজ উদ্দীনের স্মরণসভায় এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়ে।

গাজীপুর- ৫ আসনে জয়ের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ আত্নবিশ্বাসী। কিন্তু দলীয় অন্তর্কোন্দলে এই আসন আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দলটির শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭