ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিড়াল যখন বিশাল সম্পদশালী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 09/11/2018


Thumbnail

চোখেমুখে বিস্তর বিরক্তি আর রাগ। অন্যান্য বিড়ালের মতো হাসিখুশি আর আদুরে ভাব তার মধ্যে কমই। অনেকেই একে ‘গ্রাম্পি ক্যাট’ বা গোমরামুখো বিড়াল বলেও চেনেন। গুগলে, সামাজিক মাধ্যমে আমরা তো কম বিড়াল দেখি না। এটিও তেমন একটি বিড়াল। কিন্তু যেনতেন বিড়াল নয়, বিশাল সম্পদশালী বিড়াল।

নাম তার টার্দার সস। ইন্টারনেট দুনিয়ায় সে রীতিমতো সেলিব্রিটি। ইনস্টাগ্রামে এর ফলোয়ারের সংখ্যা কত জানেন? ২৪ লাখ! অদ্ভুত মুখোভঙ্গির কারণেই এই নামকরণ হয়েছে টার্দারের। সারাক্ষণই তার মুখটা কেমন যেন ‘বেজারমুখো’, গম্ভীর। কখনই তার মুখোভঙ্গিতে কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না। আর টার্দারের এই গোমরামুখই তার বিপুল জনপ্রিয়তার কারণ।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মরিসটাউনের বাসিন্দা টার্দারের জন্ম ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল। জন্মের পাঁচ মাসের মাথায় টার্দারের একটি ছবি নেট দুনিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়ে যায়। টার্দারের ওই ছবিটি তুলেছিলেন মরিসটাউনের বাসিন্দা এবং টার্দারের মালিক তবাথা বুন্দেসেনের ভাই ব্রায়ান বুন্দেসেন। সেই থেকে শুরু। বর্তমানে ফেসবুকে ‘গ্রাম্পি ক্যাট’ টার্দারের ফলোয়ারের সংখ্যা ৮৬ লাখ, টুইটারে প্রায় ১৫ লাখ আর ইনস্টাগ্রামে এর ফলোয়ারের সংখ্যা ২৪ লাখ! আর তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেমি মুদ্রায় প্রায় ৮২১ কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার সমান।

সারা বছরই অসংখ্য বিজ্ঞাপনী ফটোশ্যুটে ব্যস্ত থাকে টার্দার। এই সব বাণিজ্যিক ফটোশ্যুট আর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে চলেছে সে। সম্প্রতি একটি সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় (যা ২০১৫ সাল থেকে চলছিল) ৭ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রায় ৫ কোটি ৮০ লাখ ৬৫ হাজার টাকার সমান) জিতেছে টার্দার সস। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনো মুখে হাসি ফোটেনি ‘গ্রাম্পি ক্যাট’ টার্দারের। স্বভাববশত গাম্ভীর্য ধরে রেখেছে মুখে।

 

সূত্র: জিনিউজ

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭