কালার ইনসাইড

চলচ্চিত্রের নবীন শিল্পীদের জায়গা কোথায়?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 09/11/2018


Thumbnail

চলচ্চিত্র নির্মাণ এতই কমে গেছে। অনেকের হাতে বছরেও একটা সিনেমা থাকে না। বিশেষ করে নবীন শিল্পীরা না পারেন পাশ্ব চরিত্র করতে। না তাদের নিয়ে কেউ ধরে বাজি। ফলশ্রুতিতে দীর্ঘদিন ধরে বেকার জীবন কাটাচ্ছে। এক, দুই, তিন, চার ছবি হাতে থাকলেও সেগুলোর শুটিং কিংবা মুক্তি নিয়ে জটিলতা চলে বহুদিন ধরে। অনর্থক আর কতদিন বসে থাকা যায়। তাইতো কখনো মিউজিক ভিডিও কখনো ছোট পর্দায় নাম লেখাচ্ছেন তাঁরা। 

পপি, পরীমনি, আঁচল, জলি, এবিএম সুমন, বিপাশা কবিররা নাম লেখালেন ওয়েব সিরিজে। পূর্ণিমা, ইমন, নীরব,তমা মির্জাদের তো নিয়মিতই ছোটপর্দায় পাওয়া যাচ্ছে। এ প্রজন্মের কায়েস শিপন, আরজু, আসিফ ইমরোজ, তানহা তাসনিয়ারা চলচ্চিত্রের ‘নবীন শিল্পী’ হিসেবে পরিচিত। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা করে ছবি মুক্তি পেয়েছে। নামের আগে লেগেছে চিত্রনায়ক ও চিত্রনায়িকার তকমা! অথচ পরিস্থিতির মারপেঁচে পড়ে তারাও ভিড়ছেন ছোটপর্দায়। নাটকে কাজ করলে দর্শকের কাছে চলচ্চিত্র শিল্পীদের আবেদন কমে যায়, কিন্তু নিরুপায়!

কায়েস আরজুর কথাই ধরুণ। বিয়ের বাজনা, অবুঝ প্রেম, হেডমাস্টার, ভালোবাসার গল্প, তুমি আছো হৃদয়ে সহ আটটি ছবি মুক্তি পেয়েছে চিত্রনায়ক কায়েস আরজুর। মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’ ছবিটি। আসছে ডিসেম্বরে নাকি মুক্তি পাবে ছবিটি। তবে তিনি নাম লেখালেন টেলিফিল্মে। ‘বিসর্জন’ নামের একটি টেলিফিল্মে অভিনয় করলেন।

‘ভোলা তো যায়না তারে’ ছবি দিয়ে আলোচনায় আসেন তানহা তাসনিয়া। এরপর শাকিব খানের ‘ধূমকেতু’ ছবিতে ছিল তার উপস্থিতি। সর্বশেষ আরিফিন শুভ’র সঙ্গে ভালো থেকো ছবিতে অভিনয় করে নতুন করে আলোচনায় এসেছিলেন। টুকটাক বিজ্ঞাপন ও বিলবোর্ড মডেল হিসেবে দেখা গেলেও তানহা তাসনিয়া সম্প্রতি একটি নাটকে অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলনের সঙ্গে। নাটকের নাম ‘গল্পগুলো সিনেমার’। তার আগে ‘লাইফ ইন অ্যা মেট্রো’ নামে একটি ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। তিনি অকপটে বলেছেন,‘ শাকিব খান ছাড়া এখন কেউ সিনেমায় নিয়মিত নেই। নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য তো কিছু করা লাগবে। একটা নায়িকার ক্যারিয়ার কয় বছর থাকে? অনেকদিন বসে ছিলাম। সিনেমা পেলাম না। ধৈর্য্য  কুলাতে না পেরে নাটকে কাজ শুরু করলাম। আমি সিনেমার মানুষ। সিনেমাতেই কাজ করতে চাই। সুযোগ মিললে সেখানেই ফিরে যেতে চাই।’

২০০৯ সালে ‘সুপারহিরো-সুপারহিরোইন’ প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন আসিফ ইমরোজ। এরপর অসংখ্য নাটকের কাজে প্রস্তাব পেলেও এড়িয়ে গিয়েছিলেন। লক্ষ্য ছিল চলচ্চিত্রে কাজ করবেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয় ‘দবির সাহেবের সংসার’ ছবির মাধ্যমে। এরপর মায়ানগর, ভালো থেকো, ময়না পাখির সংসার, কাঁচা লঙ্কা ছবিগুলোতে কাজ করেন। এরমধ্যে মুক্তি সর্বশেষ মুক্তি পেয়েছে ‘ভালো থেকো’। বাকিগুলো মুক্তির অপেক্ষায় এবং নির্মাণাধীন। কিন্তু ছবি তো হাতে নেই।  তিনি বলেন,‘ মার্কেটে চেহারা দেখাতে হবে। নইলে মানুষ ভুলে যাবে। চেষ্টা করছি ভালো ভালো নাটকে করার। কিছু নাটকে কাজের কথা চলছে। নতুন অনেকেই সিনেমায় এখন টাকা দিয়ে হিরো হচ্ছে। মানে সে নিজেই বিনিয়োগকারী (প্রযোজক) হচ্ছে। পরিচালক তাকেই কাস্ট করছেন। তাহলে আমাকে কেন নেবে? আর আমার তো টাকা দিয়ে ছবি করার সামর্থ্য নেই।’


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭