লিভিং ইনসাইড

প্রয়োজন আপনার ঘরের সাফাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 10/11/2018


Thumbnail

আপনি ঘরের সৌন্দর্য, কারুকার্য নিয়ে খুবই সচেতন হয়তো। কোনদিকে কোন আসবাব রাখবেন, কি রং করবেন, পর্দা কেমন লাগাবেন, কোথায় ছবি টানাবেন- এটা নিয়ে আপনার পরিকল্পনা অনেক। কিন্তু এই সাধের ঘরেই যে কতো ধুলোবালি, জীবাণুর জন্ম হচ্ছে প্রতিনিয়ত, যা দিয়ে অ্যালার্জির সংক্রমণ হচ্ছে। বিশেষ করে এই আসন্ন শীতের সময়ে অ্যালার্জি খুব সমস্যা তৈরি করে। এজন্য ঘরের নিয়মিত সাফাই প্রয়োজন হয়।

আশেপাশে গাছপালা থাকলে

আপনার বাড়ির চারপাশে যদি অনেক গাছ থাকে আপনি যদি ঘরের ভেতরেই শখের গাছপালা রাখেন তাহলে আপনার অ্যালার্জেটিক হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। কারণ গাছগুলো থেকে খুব সূক্ষ্ম পরাগরেণু উড়ে ঘরের মধ্যে আসে। সেগুলো নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরের ভিতরে গিয়ে অ্যালার্জির তৈরি করে।

এ থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে সতর্ক হতেই হবে। তবে সবসময় তো দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখা সম্ভব নয়। তাই পর্দাই ভরসা। একটু ভারি কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করুন যাতে বাতাস হলে সহজে উড়ে না যায়। এতে বাইরের ধুলাবালি বা পরাগরেণু উড়ে ঘরে আসতে পারেনা।

পরিস্কার পোশাক-পরিচ্ছদ

আপনার অ্যালার্জি সংক্রমণের পিছনে আমাদের পোশাক-আশাকেরও ভূমিকা রয়েছে। আমরা যখন বাইরে থেকে বাড়িতে ঢুকছি, তখন আমাদের পোশাকের সঙ্গে আসছে অসংখ্য জীবাণু আর ধুলোবালি। কাপড়টি খুলে আমরা হয়তো সেটা ব়্যাকে ঝুলিয়ে রাখি। এতে করে সেই জীবাণুরা ঘরের আলোবাতাসে মিশে যাবে। এতে করে আপনার অ্যালার্জির সমস্যা আরও বেড়ে যাবে।

এ থেকে বাঁচতে নিয়মিতভাবে জামা-কাপড়গুলো কাচবেন অবশ্যেই। পাশাপাশি সারা বাড়ির এখানে-ওখানে জামা-কাপড় ছড়িয়ে না রেখে একটিই জায়গা নির্দিষ্ট করে রাখুন। তাতে জীবাণু সংক্রমণের সুযোগও কম থাকবে। প্রয়োজনে আপনি খুঁজেও পাবেন সব।

নিয়মিত ঝাড়াঝাড়ি করুন

জামা-কাপড় থেকে যেমন বাইরের জীবাণু ঘরে ঢোকে, তেমনি বিছানার চাদর-পর্দা-পাপোশেও জমে থাকে অনেক ধুলোবালি। এর ফলে আপনি যখন আরাম করে বিছানায় গা এলিয়ে দিচ্ছেন বা পর্দা তুলে জানালার বাইরে তাকাচ্ছেন, আবার পাপোশে পা মুছছেন, তখনই অনেক ধূলিকণা নিশ্বাসের সঙ্গে শরীরের ভিতরে চলে যাচ্ছে। এগুলো আপনার অজান্তেই ঘটছে।

এর থেকে বাঁচতে প্রত্যেকদিন নিয়ম করে বিছানা ঝাড়ুন। পাপোশ ঝাড়ুন। সপ্তাহে একবার অবশ্যই পর্দা, মশারি, বিছানা আর বালিশের চাদর কেচে নিন।

খেলনা থেকেও হতে পারে সমস্যা

আপনার শিশুর সফট টয়গুলো থেকেও সমস্যা হতে পারে। তুলোর পুতুল বা টেডি বিয়ারগুলোতে চট করে ধুলো জমে যায়। এগুলো দিয়ে আপনার শিশুর পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যরাও অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে।

এর প্রতিকার আপনার করা উচিৎ। এজন্য নিয়ম করে সপ্তাহে অন্তত একবার খেলনাগুলো ধুয়ে দিন বা রোদে দিন। এতে করে সব ধুলো ময়লা চলে যাবে।

ফ্যান থেকেও ধুলো-জীবাণু

আমরা ফ্যান থেকে যে শুধু বাতাসই পাই, তা নয়। খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই যে, ফ্যানের ব্লেডে প্রচুর ধুলোবালি জমে থাকে। এছাড়া এসির মেশিনের খোপেও ধুলো জমে থাকে। ফলে ফ্যান বা এসি চললে ঘর ঠাণ্ডা হওয়ার পাশাপাশি ধুলো নিঃশ্বাসের সঙ্গে মিশে আপনাকে অ্যালার্জেটিক করে তুলতে পারে।

এই সমস্যা থেকে বাচতে সপ্তাহে নিয়মিত অন্তত একদিন ফ্যানের ব্লেডগুলো পরিষ্কার করুন। আর মাসে একবার করে এসিটিকে সার্ভিসিং করিয়ে নিন।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭