কালার ইনসাইড

তাদের জীবনের প্রথম উপার্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 06/04/2017


Thumbnail

অর্থ-যশ-প্রতিপত্তি সবই হয়তো এক সময় আসে। কিন্তু জীবনের সেই প্রথম আয়ের কথা কী ভোলা যায়? সে আয় হয়তো খুব সামান্য। তবুও তা স্মৃতিতে রঙিন হয়ে থাকে। তারকাদের প্রথম আয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে এ প্রতিবেদন।

চঞ্চল চৌধুরী

আমার বড় ভাই একজন ডাক্তার, গ্রাম থেকে ঢাকাতে এসে আমি তার সঙ্গেই থাকতাম। আমি আমার বড় ভাইয়ের কাছে খরচের টাকা চাইতাম না। তিনি প্রতিদিন বলতেন টাকা নেয়ার জন্য, কিন্তু সহজে নিতাম না। বাড়ি থেকে যে টাকা এনেছিলাম সেখান থেকেই খরচ করতাম। আমি ঢাকাতে যে মাসে এসেছিলাম ঠিক তার পরের মাস থেকে টিউশনি করা শুরু করি। প্রথম মাসের বেতন ছিল ১২০০ টাকা। এটা ১৯৯৩ সালের ঘটনা। অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রকে সবগুলো সাবজেক্ট পড়াতাম। সব সময় আমার একটা ইচ্ছা ছিল যে আমি আমার প্রথম ইনকামের টাকা দিয়ে মাকে একটা স্বর্ণের চেইন কিনে দেবে। প্রথম মাসের টাকা দিয়ে তো আর পারিনি। তাই প্রথম এবং পরবর্তী চার মাসের বেতন জমিয়ে ৬ হাজার টাকা দিয়ে মাকে আমি একটা স্বর্ণের চেইন কিনে দিই। ওটাই আমার প্রথম ইনকাম ও মায়ের জন্য কিছু করা। যার আনন্দটা অনেক ছিল আর এখনো অনুভব করি।

আরফিন শুভ

আমার জীবনের প্রথম ইনকাম ২০০৩ সালে। একটি ফ্যাশন শো করে পেয়েছিলাম ২শ টাকা। আর আমি এটাও জানতাম যে আমার সঙ্গে অন্য আরো যারা কাজ করছে তারা সবাই ২ হাজার টাকা করে পাচ্ছে। আর আমি পাচ্ছি মাত্র ২শ টাকা। আমাকে বলা হয়েছিল যে এটা তোমার আসা যাওয়ার খরচ।

নিপুণ

আমি মস্কোতে লেখাপড়া করা অবস্থাতেই প্রথম ইনকাম করেছিলাম। এটা ১৯৯৯ সালের কথা। সপ্তাহে তখন আমি দুদিন কাজ করতাম শনি ও রোববার। আমি চাকরি করতাম নেসক্যাফে কোম্পানিতে। এখানে চাকরি করে আমি ২৫০ গ্রাম ডলার পেতাম। ২৫০ ডলার তখন আমার কাছে ২ কোটি ডলারের মতো ছিল। কারণ আমি তখন মাত্র একজন ছাত্রী তার ওপর বিদেশের মতো জায়গা। একটি বাঙালি মেয়ে ২৫০ ডলার উপার্জন করছে চাকরি করে এটা আমার কাছে অনেক বড় একটা পাওয়া ছিল। ওই টাকা দিয়ে মোটামুটি নিজের প্রয়োজনীয় পোশাক ও প্রসাধনী কিনতাম।

বিদ্যা সিনহা মিম

লাক্স সুপার স্টার হওয়ার পর আমি প্রথম একটি নাটকে কাজ করি। নাটকের নাম ছিল চলনা বৃষ্টিতে ভিজি। নাটকটিতে কাজ করে আমি পারিশ্রমিক হিসাবে ২০ হাজার টাকা পেয়েছিলাম। এই ২০ হাজার টাকাই ছিল আমার কাজ করে প্রথম ইনকাম। অনেক ভালো লাগছিল তখন। এমন তো আর আগে কখনো পাওয়া যায়নি। স্কুলে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে কিছু টাকা পেয়েছিলাম কিন্তু সেটা তো আসলে ইনকাম ছিল না।

মম

আমার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে। আমি তখন ক্লাস সিক্সের ছাত্রী। সেখানে নাচের একটি অনুষ্ঠান করতাম। অনুষ্ঠানটির নাম কুলির সপ্তাহ। আমি তখন নাচ শিখতাম কবির্বল ইসলাম রতন এবং সিজু মাহামুদ এ দুজনের কাছে। এ দুজনের কাছে নাচ শিখতাম আর পাশাপাশি কুলির সপ্তাহে অনুষ্ঠানে নাচতাম। একটি অনুষ্ঠানে আমাকে নাচতে হয় আর যার জন্য অনুষ্ঠানের পরিচালক আমাকে কিছু সম্মানি দিয়েছিল। সম্মানি ছিল ৬শ টাকা। এটাই আমার প্রথম নিজে কিছু করে পাওয়া।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭