ইনসাইড আর্টিকেল

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের যত অস্ত্রশস্ত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 12/11/2018


Thumbnail

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কেড়ে নিয়েছিল প্রায় দুই কোটি মানুষের প্রাণ। শতবর্ষ আগের ওই যুদ্ধে বিস্ময়কর কিছু অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। বর্তমান বিশ্বের অত্যাধুনিক সব অস্ত্রের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে থাকলেও সেগুলোর কার্যকারীতা ছিল ভয়াবহ। এর মধ্যে কিছু অস্ত্র যুদ্ধ ক্ষেত্রেই ব্যবহার শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে এগুলোর আরও উন্নতি ঘটেছিল। এমন কয়েকটি অস্ত্রের কথাই এখানে তুলে ধরা হলো:

ট্যাংক


বহু বছর ধরেই স্থল যুদ্ধ জাহাজ বা ট্যাঙ্ক নিয়ে গবেষণা চলছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সর্বপ্রথম এর দেখা মেলে। প্রথম ব্রিটিশ ট্যাংক ‘লিটল উইলি’র ওজন ছিল প্রায় ১৪ টন। এর সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘন্টায় মাত্র ৩ মাইল। ব্রিটিশদের পাশাপাশি ফরাসিরাও রেনাল্ট আরটি হালকা সাঁজোয়া যান তৈরি শুরু করে।

ব্রিটিশ ও ফরাসিদের ট্যাংক ব্যবহারের প্রতিক্রিয়ায় জার্মানিও সাঁজোয়া যুদ্ধ যান তৈরী করে। এটা ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানদের একমাত্র নিজস্ব নকশা এ৭ভি। এর আকৃতি ছিল উদ্ভট। আর উচ্চতা ছিল একতলা বাড়ির সমান।

ফ্লেমথ্রোয়ার


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আরেকটি অস্ত্র হলো, হাতে বহনযোগ্য ফ্লেমথ্রোয়ার। ১৯১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জার্মানরা প্রথম এই অস্ত্র ব্যবহার করে বলে জানা যায়। এর সাহায্যে পিঠে নাইট্রোজেনের ট্যাংক বহনকারীর হাতে সরু নজেলের মাধ্যমে জ্বালানী নির্দিষ্ট দিকে স্প্রে করা হতো। যুদ্ধে জার্মানরা প্রায় তিন হাজার সৈনিক নিয়োগ করেছিল যারা ৬৫০ টি অগ্নি নিক্ষেপক আক্রমণ চালায়। ব্রিটিশ ও ফরাসিরাও অগ্নি নিক্ষেপক অস্ত্র তৈরী করেছিল। কিন্তু তারা এর ব্যাপক ব্যবহার করেনি।

রাইফেল


প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়া সব দেশই একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হতো- লি-এনফিল্ড .৩০৩, লেবেল এন্ড বার্থিয়ার ৮এমএম, মানলিচার-কারকারনো এম১৮৯১, ৬.৫এমএম। এগুলো ছাড়াও আরও বেশ কয়েক ধরনের রাইফেল ব্যবহার হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে।

রাসায়নিক অস্ত্র


১৯১৫ সালের ২২ এপ্রিল বেলজিয়ামের ওয়াইপ্রেস এলাকায় জার্মানরা কামানের গোলা হিসেবে ক্লোরিন গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার ব্যবহার করে। এটাই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রথম রাসায়নিক হামলার ঘটনা। এরপর অন্যান্য দেশও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতায় নামে। ক্লোরিন ও মাস্টার্ড গ্যাসের মতো অস্ত্রগুলো বিপুল পরিমান সৈন্যদের সাময়িকভাবে নিষ্ক্রিয় করে রাখতে পারতো। এই গ্যাসের প্রয়োগ গোটা এলাকাতেই আতংক তৈরী করতো।

যুদ্ধবিমান


যুদ্ধ বিমান শব্দটির প্রচলনই শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে। সেসময় আকাশ যুদ্ধে ব্যবহৃত কিছু প্রযুক্তি অনেক সামরিক এবং রাজনৈতিক নেতাদেরও অবাক করেছিল। ১৯০৬ সালে বিমান আবিষ্কারের পর থেকে বিমান নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলতে থাকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়েই সেটা প্রথম যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার শুরু হয়। সেসময়ে মূলত কাঠের ফ্রেমে তৈরী বিমান ব্যবহার করা হত। যার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার।

সাবমেরিন


প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে লম্বা পরিসীমার ইউবোট এবং উন্নত টর্পেডো তৈরী হয়। সেসময়ে লুকিয়ে কোন নৌবহরে ঢুকে আক্রমণ করতে সাবমেরিন ব্যবহার করা হতো। প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে জার্মানির সাবমেরিনের আঘাতে কয়েকটি মার্কিন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং মিত্র বাহিনীতে যোগ দেয়।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭