ইনসাইড পলিটিক্স

এরশাদ ভোল পাল্টাচ্ছেন কেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 13/11/2018


Thumbnail

জাতীয় পার্টি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র বিলি শুরু করেছে গত রোববার। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের জন্যই মনোনয়ন পত্র বিক্রি করছে তারা। অথচ আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান লে. জে. (অব.) হু. মু. এরশাদ বলেছিলেন, নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ না করে তাহলেই কেবল তারা এককভাবে নির্বাচন করবেন। আর যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে তাহলে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে নির্বাচন করবেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ভোল পাল্টে ফেলেছেন এরশাদ।

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দেশের একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় গত ৫ নভেম্বর এরশাদ ৩৩ জনের একটি দল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। গণভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে জাতীয় পার্টি ইঙ্গিত দিয়েছিল, আগামী নির্বাচনের জন্য তারা ৩০ থেকে ৩৩টি আসন চায়। জাতীয় পার্টির দাবি মাথায় রেখে এরপর ৫০  থেকে ৭০টি আসন শরিকদের জন্য বরাদ্দ রেখে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নের একটি ছক এঁকে ফেলেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু যে মুহূর্তে বিএনপি নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিল সে মুহূর্তেই দেখা গেল পাল্টে গেছে এরশাদের জাতীয় পার্টি।

এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান জি. এম. কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের কাছ থেকে তারা ১০০টি আসন প্রত্যাশা করছেন। কিন্তু রাজনীতি সচেতন সকলেই জানেন, জাতীয় নির্বাচনে শরিকদের জন্য ১০০টি আসন ছেড়ে দেওয়া আওয়ামী লীগের মতো বড় একটি রাজনৈতিক দলের জন্য অবাস্তব ও অকল্পনীয় একটি বিষয়। তাই রাজনীতি পাড়ায় প্রশ্ন উঠেছে, জাতীয় পার্টি কি ইচ্ছে করেই এমন অবাস্তব প্রস্তাব দিয়েছে যা মানা আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্ভব নয়? কারণ আওয়ামী লীগ যদি প্রস্তাবটি না মানে তাহলে জাতীয় পার্টি নাটক করার সুযোগ পাবে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন নেতা বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। বিএনপির এই নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি এক সময় জাতীয় পার্টির নেতা ছিলেন এবং স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতনের সময় দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কাজেই তাঁর মাধ্যমে বিএনপির বিভিন্ন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা জাতীয় পার্টির জন্য সহজ। এছাড়া জি. এম. কাদেরের মাধ্যমে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যোগাযোগের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। জানা গেছে, একদিকে এরশাদ যেমন আওয়ামী লীগের কাছে ১০০ সিটের দাবি করেছে, তেমনি বিএনপি কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা দাবি করেছে দলটি। তবে জাতীয় পার্টির অবস্থান দর কষাকষির মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টি সিদ্ধান্ত নেয়নি তারা কোন দিকে যাবে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে আজীবনের সুযোগসন্ধানী এরশাদের এই নতুন অবস্থান রাজনীতির ময়দানে নতুন সমীকরণের সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭