ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গুবরে পোকা ও বিড়ালের রহস্যময় মমির খোঁজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 13/11/2018


Thumbnail

গুবরে পোকা ও বিড়ালের রহস্যময় কিছু মমি খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। চলতি সপ্তাহে মিসরের সাকারায় ফারাও উসেরকাফের পিরামিড চত্বরে সেগুলো খুঁজে পান তারা। মমিগুলো ২৫০০-২৩৫০ খ্রিস্টপূর্ব সময়কালের বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

মিসরের সুপ্রিম কাউন্সিল অব অ্যান্টিকুইটি জানিয়েছে, উসেরকাফের পিরামিড চত্বরে কয়েকটি মমি পাওয়া গেছে। এতে বেশ কয়েকটি গুবরে পোকার সন্ধান মেলে। লিনেনে মোড়া দু’টি গুবরে পোকা একটি কারুকাজ করা পাত্রের মধ্যে রাখা ছিল। ছোট্ট একটি কফিনে আরও বেশ কয়েকটি পোকার মমি মিলেছে। পিরামিড চত্বরে সাড়ে চার বছর আগের ২১টা বিড়ালের মমির সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া কুমিরের সমাধিও আবিষ্কৃত হয়েছে।

প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানান, গিজার পিরামিড তৈরির পরবর্তী সময়ে প্রাচীন মিসর শাসন করতেন ফারাও উসেরকাফ। সেসময় ধর্মীয় কারণেই মৃত্যুর পর মানবদেহের মমির সঙ্গে দেওয়া হত জীবন্ত গুবরে পোকা। প্রাচীন মিসরের হায়ারোগ্লিফস লিপি, পুরাকীর্তি এবং ভাস্কর্যে গুবরে পোকার নিদর্শন পাওয়া যায়। সেসময়কার অলঙ্কার ও সিলমোহরেও এই পোকার প্রতিকৃতি পাওয়া যায়।

মিসরের আদিম অধিবাসীরা গুবরে পোকাকে ঊষার দেবতা খেপরির পবিত্র প্রতীক হিসেবে সম্মান করত বলে জানা যায়। গবেষকরা বলেন, গুবরে পোকার রক্ষাকবজ মিসরীয়দের কাছে পরকালের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ কারণে ফারাওদের মমির সঙ্গে দেওয়া পোশাক কিংবা মাদুলিতে এই পোকার প্রতিকৃতি খোদাই করা থাকত। অনেক মমির বুকের ওপরে হৃদপিণ্ড আকৃতির গুবরে পোকা পাওয়া গেছে বলেও জানান গবেষকরা। প্রাচীন মিসরের আরেকটি পবিত্র প্রাণী হলো বিড়াল। ছোট্ট এই প্রানীটি দেবতার মর্যাদাও পেত। এ কারণে মৃত্যুর পর বিড়ালের মমি করা হতো বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭