ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫: সরে গেলেন বাদল, মামুন-জিকরুলের ভাগ্য সুপ্রসন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 14/11/2018


Thumbnail

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে সরে দাঁড়ালেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও সেটি জমা দেননি। শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে নির্বাচন করছেন না বলে জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠজনরা।

ফলে এ আসনে মহাজোটের দুই শরিক দল জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী কাজী মামুনুর রশীদ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ ইনু) একক প্রার্থী শাহ্ জিকরুল আহমেদ খোকনের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে মনে করছেন স্থানীয়রা। জিকরুলকে গত ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ওই আসনে তিনি চারবার নির্বাচিত বিএনপির প্রার্থী কাজী আনোয়র হোসেনকে পরাজিত করেন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবার তাকে মহাজোট থেকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও তা প্রত্যাহার করে ফয়জুর রহমান বাদলকে সমর্থন দেন।

এ আসন থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ২৩ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তাদের মধ্যে থেকেই কাউকে দলের মনোনয়ন দেওয়ার দাবি নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের। নবীনগরে জাপার প্রার্থী কাজী মামুনুর রশীদ ও জাসদের প্রার্থী শাহ্ জিকরুল আহমেদ খোকনের কোনো ভিত্তি নেই বলেও দাবি করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দলের একটি বিশেষ সভায় নিজেকে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী ঘোষণা করে মহাজোটের শরিক দলের কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে রক্তের গঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারী দেন বর্তমান সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। তবে ২৬ জুলাই নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পাশে জাসদের এক জনসভায় দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু তার দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য শাহ্ জিকরুল আহমেদ খোকনকে একক প্রার্থী ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর একই মাঠে জনসভা করে নিজের উপদেষ্টা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাপার সদস্য সচিব কাজী মামুনর রশীদকে একক প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের কাছে পরিচয় করান পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ আসনটি একসময় জাপার ছিল দাবি করে মামুনকে আসনটি পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দেন তিনি।

বাদলের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় নিজেদের শরিক দলের জন্য আওয়ামী লীগ আসনটি ছেড়ে দিয়েছে বলে এলাকায় জোর গুঞ্জন ওঠেছে। তবে গুঞ্জনটি সত্যি হলে কাজী মামুন ও জিকরুলের জন্যই ভালো হবে।

এ বিষয়ে জানতে সাংসদ ফয়জুর রহমান বাদলের মুঠোফোনে ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তাঁর একান্ত সচিব জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচনটা উনি কন্টিনিউ করবেন না বলেই হয়তো চিন্তা করছেন। চারদিন ধরে ব্যবসায়িক পার্টনারদের নিয়ে উনি কক্সবাজার আছেন। তাদের সবার মোবাইল বন্ধ। তাই যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছেনা। তবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ম্যাসেজ দিয়ে জানান কেউ যেন তার নামে মনোনয়ন জমা না দেন। তিনি আরও বলেন, একটা ফরম আমরা কিনেছিলাম তাঁর জন্য। কিন্তু সেটা তিনি অ্যালাও করেননি।

এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ হালিম বলেন, আমাদের সহকর্মীরা চাচ্ছিলো বলে উনার (বাদল) নামে ফরম নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁর শারীরিক কিছু সমস্যা আছে। সেজন্য বলেছেন ‘লোডটা নিতে চাইনা, আই লাইক টু রেস্ট’। তিনি আরও বলেন, আমাদের শুধুমাত্র একজন সরে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু আমাদের আরও অনেক প্রার্থী আছেন। আমরা আওয়ামী লীগের যেকোনো প্রার্থীকে চাইবো এবং শেষ চেষ্টা করব।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ

 

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭