ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

১০০ বছর আগে প্লাস্টিক সার্জারি!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 14/11/2018


Thumbnail

পছন্দসই নাক কিংবা ঠোঁট। মুখাবয়বের পুরো গঠনই পাল্টে ফেলা সম্ভব ‘প্লাস্টিক সার্জারি’র জেরে। বিশেষ করে, হলিউড আর বলিউডের তারকারা তো এর সঙ্গে আরও বেশি পরিচিত।

তবে প্রযুক্তির এই কল্যাণের শুরুটা কিন্তু আধুনিক যুগে নয়, হয়েছিলো শতবর্ষ আগে। ইতিহাস বলছে, এই ধরনের অস্ত্রোপচার একেবারেই হালের ফ্যাশন নয়। এর শিকড় রয়েছে একশো বছর গভীরে। একেবারে সেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আমল থেকে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হয়েছিল ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর। যুদ্ধ সমাপ্তির শতবর্ষ পালিত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। সেই শতবর্ষকে স্মরণ করেই চিকিৎসক রবার্ট কারবি সম্প্রতি এমন তথ্য জানিয়েছেন।

ইংল্যান্ডের কিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্লিনিকাল এডুকেশন এবং সার্জারি’র এই অধ্যাপক জানান, একশো বছর আগে, সেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আমলেই শুরু হয়েছিল এই ধরনের অস্ত্রোপচারের প্রচলন। পরবর্তীকালে ‘প্লাস্টিক সার্জারি’ বা ‘প্রস্টেথিকস’ প্রযুক্তিও এসেছে সেই প্রাচীন গবেষণারই হাত ধরে।

কারবি জানিয়েছেন, মূলত প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আহত সেনাদের ক্ষতবিক্ষত চেহারা ঠিক করতেই এই ধরনের অস্ত্রোপচার সর্বপ্রথম শুরু হয় ইংল্যান্ডে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে প্রায় সাড়ে সাত লাখ ব্রিটিশ সেনা হাসপাতালে নানা ধরনের চিকিৎসার পরে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। এঁদের মধ্যে প্রায় ১৬ শতাংশের মুখে ছিল ভয়াবহ ক্ষত। মূলত শার্পনেল বা শেলের টুকরো অনেকেরই চেহারার একটা বড় অংশকে পুরোপুরি চেনার অযোগ্য করে দিয়েছিল।

হ্যারল্ড গিলিজ নামে নিউজিল্যান্ডের এক ইএনটি চিকিৎসক আহত এই ধরনের সেনার চিকিৎসা করছিলেন ‘ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’-এ। তিনিই প্রথম এই ধরনের পুড়ে যাওয়া বা একেবারে ক্ষতবিক্ষত মুখগুলোর উপরে ‘কসমেটিক সার্জারি’ করার প্রয়োজন অনুভব করেন।

যে ভাবা সেই কাজ! অত:পর ১৯১৬ সালে অলডারশটে তৈরি হয় ব্রিটেনের প্রথম প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট। কেমব্রিজ সেনা হাসপাতালে আহত ব্রিটিশ সেনাদের মুখে সেই প্রথম ‘স্কিন গ্রাফটিং’ শুরু করেন চিকিৎসক গিলিজ। একেবারে শুরুতে দু’শো জন মতো রোগী আশা করেছিলেন গিলিজ। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সংখ্যাটা তখনই দু’হাজার ছাড়িয়েছে। কোনও আহত সেনার ক্ষতবিক্ষত মুখে দেহের অন্য অংশ থেকে চামড়া নিয়ে মুখে জোড়ার কাজ শুরু হয় সেই সময় থেকেই।

ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তাঁর রোগীর সংখ্যা। গিলিজের হাতে গড়া দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে কুইন মেরিজ় হাসপাতালে একটি বিশেষ ইউনিটে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে এ ধরনের ১১ হাজারেরও বেশি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।

বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭