ইনসাইড আর্টিকেল

ধানের ঘ্রাণে, ভরা অগ্রহায়ণে এসেছে নবান্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 15/11/2018


Thumbnail

শুরু হলো বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব নবান্ন উৎসব। পহেলা অগ্রহায়ণ আজ। অগ্রহায়ন আসলেই নতুন ধানের উৎসবে মেতে ওঠে কৃষক। নতুন ধানের উৎসব মানেই তো নবান্ন উৎসব। নতুন ধান কাঁটা, মাড়াই এবং কৃষকের গোলায় তোলা উপলক্ষে গ্রাম-বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় নবান্ন উৎসব।

`নবান্ন’ শব্দের অর্থ ‘নতুন অন্ন’। নবান্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের অন্যতম উৎসব। নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষ্যে আয়োজিত উৎসবই হলো। অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান পাকার পরই এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতি বছর এই উৎসব অতি আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করা হয়ে থাকে। নবান্নের এই উৎসব একেক জায়গায় পালিত হয় একেকভাবে। আগের দিনে কোনো কোনো অঞ্চলে ফসল কাটার আগে বিজোড় সংখ্যক ধানের ছড়া কেটে নিয়ে ঘরের চালে বেঁধে রাখা হতো এবং পরে ক্ষেতের বাকি ধান কাটার পর চাল করে নতুন চালের পায়েশ করে নবান্ন করা হতো।

আবহমান বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে নবান্নে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় নৃত্য, গান, বাজনাসহ নানা সাংস্কৃতিক কর্মসূচি পালিত হয়। এছাড়া লাঠিখেলা, বাউলগান, নাগরদোলা, বাঁশি, শখের চুড়ি, খৈ ও মোয়ার পসরা বসে গ্রাম্য মেলায়।

প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শুরু হয়েছে নবান্ন উৎসব। এ উৎসবের আয়োজন করেছে ‘জাতীয় নবান্নোৎসব পর্ষদ’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলা প্রাঙ্গণে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী এ উৎসব। থাকছে শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক উৎসব।

সকালে চারুকলার বকুলতলায় গান, কবিতা, নৃত্য ও বাঁশির সুরে গ্রামীণ ঐতিহ্য তুলে ধরার মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় এ উৎসবের। নবান্ন উৎসবে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন বয়সের সংস্কৃতি প্রেমী মানুষ। উদ্বোধনের পর দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের সুরের সঙ্গে নজরুল ও রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এ বছর নবান্ন উৎসবে ৬৮টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের এক হাজার ২০০ শিল্পী সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করবেন।

বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭