নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 19/11/2018
শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক এর প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং। পদকের শুরুতে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমি দেশের জন্য কাজ করি। নিজের নামে কোনো কিছু করার জন্য আমি কাজ করি না। আমার কাজের বিচার করবে জনগণ। নাম দেওয়া নীতিতে আমি বিশ্বাসী নই। নিজের নামে কোনো কিছু করাতে আমি আগ্রহী নই।
আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক’ এর প্রস্তাব উঠবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বরাবরই দেশের অর্জনে নিজের নামকরণের বিপক্ষে। এর আগে পদ্মা সেতুতেও তাঁর নাম যুক্ত করার বিপক্ষে মত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার আরেকবার নিজের নাম নয় নিঃস্বার্থ ভাবে দেশের সেবাই যে তাঁর লক্ষ্য উদ্দেশ্য তারই প্রমাণ রাখলেন প্রধানমন্ত্রী।
গত বছরের শেষে মিয়ানমারে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পারি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদানকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন, ১৬ কোটি মানুষের খাবার দিই৷ সেই সঙ্গে কয়েক লাখ মানুষকে খাবার দেওয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে।’ এর পরই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতার কথা প্রচার হয়। যুক্তরাজ্যের টেলিভিশন ‘চ্যানেল ফোর’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ আখ্যা দেন।
চলতি বছরই সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ‘শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটি-সমাজকল্যাণ পদক’ প্রস্তাব করে। আগামী ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ‘শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটি-সমাজকল্যাণ পদক’ চালু হওয়ার কথা। প্রতি বছর ২ জানুয়ারি জাতীয় সমাজসেবা দিবসে সমাজ উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচটি ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পদক দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭