ইনসাইড পলিটিক্স

মনোনয়ন বাণিজ্য: তারেক চ্যাম্পিয়ন, এরশাদ দ্বিতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/11/2018


Thumbnail

নির্বাচন এলেই মনোনয়ন বাণিজ্যের খবর চাউর হয়। কোন প্রার্থী কত টাকায় মনোনয়ন পেলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক ‘গসিপ’ও কম হয় না। এবারও যখন রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী বাছাই করছে, তখন মনোনয়ন বাণিজ্যের নানা গুঞ্জন আকাশে বাতাসে। এবার মনোনয়ন বাণিজ্যের শীর্ষে আছে বিএনপি, দ্বিতীয় স্থানে আছে জাতীয় পার্টি। মনোনয়ন বাণিজ্যে পিছিয়ে নেই বিকল্পধারা এবং গণফোরামও। তবে, অবাক ব্যাপার হলো, এবারের নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে মনোনয়ন বাণিজ্যের কোনো গুঞ্জন শোনা যায়নি আওয়ামী লীগে।

মনোনয়ন বাণিজ্যে শীর্ষে আছে বিএনপি। দলের সিনিয়র নেতাদের ৩৮টি আসন বাদ দিয়ে সব আসনেই বাণিজ্য হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা থেকে প্রার্থী ভেদে ১০০ কোটি টাকায় মনোনয়ন বিক্রি হয়েছে। আর এই পুরো বাণিজ্য তদারকি করেছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি থেকে যাঁরা মনোনয়ন পাচ্ছেন, তাঁরা প্রায় সবাই লন্ডনে গিয়ে ‘ভাইয়ার’ সঙ্গে দেখা করেছেন। ভাইয়ার তহবিলে টাকা দিয়েই পেয়েছেন মনোনয়নের সবুজ সংকেত। বিএনপিতে সংস্কারপন্থীরা পুনঃ-প্রকাশ করেছেন তারেক জিয়ার নির্দেশে। এরা বিভিন্ন মাধ্যমে তারেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। লেনদেন চূড়ান্ত হওয়ার পরই তাঁদের বিএনপিতে নেওয়া হয়।

বরিশাল অঞ্চলের বহিষ্কৃত এক নেতা তারেক জিয়ার চাহিদা অনুযায়ী অর্থ দিতে গিয়ে তাঁর মগবাজারের একটি বাড়িও বিক্রি করেছেন। জানা গেছে, সর্বোচ্চ ১২০ কোটি টাকায় তারেক জিয়া চট্টগ্রামের একটি আসন এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন।

বিএনপির নেতারা বলেছেন, মনোনয়ন দিয়ে ৮০০ থেকে এক হাজার কোটি টাকা আয় করেছেন তারেক জিয়া। বিএনপির অন্য দু-একজন নেতাও মনোনয়ন বাণিজ্য করে কিছু আয় করেছেন বলে জানা গেছে। মনোনয়ন বাণিজ্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এবং নজরুল ইসলাম খানের নামও এসেছে।

এরশাদ এবার নির্বাচনে নিজেই নিজেকে বিক্রি করেছেন। আর্থিক সুবিধা নিতেই তিনি নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও মহাজোট থেকে আসন আনতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এবার বিকল্পধারা, গণফোরাম এবং নাগরিক ঐক্যও বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে চাঁদার বিনিময়ে মনোনয়ন দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাগরিক ঐক্যের জামালপুর এলাকায় একজন প্রার্থী মান্নাকে অর্ধ কোটি টাকা দিয়ে মনোনয়ন পেয়েছেন, এমন অভিযোগ নিয়ে তপ্ত ঐক্যফ্রন্ট।

তবে আশ্চর্য ব্যাপার হলো, এবার মনোনয়ন বাণিজ্যের কোনো খবর নেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একা হাতে সামলেছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশী সবাই জানতেন, কারও কোনো ক্ষমতা নেই, সব ক্ষমতা সভাপতির হাতে।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭