নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 24/11/2018
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আচরণে অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি দেখছেন বিএনপির বেশ কিছু সিনিয়র নেতা। ওই বিএনপি নেতাদের অভিমত, বিএনপিকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়নি। ঐক্যফ্রন্টের বেশ কয়েক নেতার অতিশয় বাড়াবাড়িকে কোনোভাবেই মানতে পারছে না তাঁরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বিষয়টি নিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে সহসাই যদি কোনো সমাধান না হয় তাহলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রশ্নে দল ছাড়তে পারেন কিংবা নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারেন বিএনপির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা।
জানা গেছে, আসন বন্টন নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতার মত আচরণ করছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু এবং জাতীয় ঐক্যের নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই তিন নেতা আলোচনার টেবিলে নীতি-নির্ধারনী সব ধরনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ঘাড়ে চাপিয়ে দেন যা নিয়ে খোদ বিএনপিতেই শুরু হয়েছে গৃহবিবাদ। বিএনপির কতিপয় নেতার ধারনা, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আশ্রয়-প্রশয়েই নাকি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নেতারা আস্কারা পাচ্ছেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের বাড়াবাড়িকে ভালো চোখে দেখছে না ২৩ দলও। ২৩ দল নেতাদের অভিমত, নির্বাচনী ঐক্যে ফাঁটল ধরানোর জন্য ঐক্যফ্রন্টের কয়েক নেতা কাশিমবাজার কুঠির ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন। ২৩ দলের অন্যতম শরীক এলডিপির কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ তাঁর নিজ নির্বাচনী আসনে গণফোরামের নিবার্হী সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর জোরালো প্রার্থী হওয়ার নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কর্নেল অলির দাবি, প্রার্থী হবার এমন ঘোষণা দেওয়া হাস্যকর।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের তিন খলিফার বিষয়টি নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে ড. কামাল হোসেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আভাস দিয়েছে বিএনপি সূত্র।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭