ইনসাইড থট

ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে এক সন্ধ্যার গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 25/11/2018


Thumbnail

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে এক সন্ধ্যা কাটল গত ২০ নভেম্বর। বারিধারার চ্যান্সারি ভবনে সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে এ আড্ডায় উঠে এল অনেক কিছু। সিনিয়র সাংবাদিকদের সিরিয়াস অনেক বিষয়ের বাইরে অনেক হালকা বিষয়েও কথা বলতে মেতে উঠেন হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। রাজনীতিও বাদ যায়নি তা থেকে।

বলেন, দশ বছর আগে ভারতীয় ভিসার জন্য মধ্য রাত থেকে বাংলাদেশের মানুষদের লাইনে দাঁড়াতে হতো। কিনা কষ্ট হতো তাদের। সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ভারত সরকার পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভিসা কেন্দ্র চালু করেছে ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে। এখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভিসা ফরম জমা দেওয়া যায়। জমা দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে ভিসা পাওয়া যায়। একদিনে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ভিসা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

খুলে দেওয়া হয়েছে ভারতের অনেক টুরিস্ট এলাকা। এযসব এলাকা আগে নিরাপত্তার কারণে যেতে দেওয়া হতো এখন তা খুলে দেওয়া হয়েছে।

গল্পের ছলে ভারতীয় হাইকমিশনার বললেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন তাক লাগার মত। মাথাপিছু আয় যে হারে বেড়েছে তা ভারতের অনেক স্থানেই করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের জিডিপির হারো তাক লাগানোর মত।

ভারত চায় বাংলাদেশের উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকুক। কারন প্রতিবেশী ভাল থাকলে অন্য প্রতিবেশীরাও ভালো থাকে। তাই ভারত মনে করে বাংলাদেশের এ উন্নয়নের সুফল ভারতীয়রাও পাচ্ছে। তিনি গত কয়েক বছরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকগুলোর কথা তুলে ধরে বলেন, এ সভাগুলো ছিল উন্নয়নযতাত্রার সহায়ক। এ ধারা অব্যাহত থাকু, মানুষে মানুষে সম্পর্ক টিকে থাকুক এটাই সকলের প্রত্যাশা।

বাংলাদেশর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, এটা বাংলাদেশর আভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের সরকার নির্বাচন করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে ভারত সব সময় গনতন্ত্র এবং শান্তির পক্ষে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই ভারত আলোচনা করে। গত কয়েক মাসে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। শুধু জামায়াতে ইসলামী বাদে। কারন সাম্প্রদায়িক শক্তি যারা একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তাদের সঙ্গে ভারত থাকতে পারে না, বসতে পারে না কোনো বৈঠকে। এই স্বাধীনতা বিরোধীদের সহয়তার কারনেই ৩০ লাখ বাংলাদেশীকে জীবন দিতে হয়েছিল। এমনকি এসই যুদ্ধে বাংলাদেশের মাটিতে প্রাণ ঝড়েছে অনেক ভারতীয় সৈনিকেরও। এছাড়া যুদ্ধাপরাধী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের দলের নিবন্ধণ ও বাতিল হয়ে গেছে। তাই এই অপশক্তির সাথে ভারত নেই, থাকতে পারে না। এটাই ভারতের অবস্থান।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখুক এটা চায় ভারত। অতীতের মত সব সময় ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

জানুয়ারিতে আরো বড় আড্ডা হবে-একথা বলে আড্ডা শেষ করেন জাত কুটনীতিক ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা। এর মধ্যে চলে গরম চা আর স্যান্ডউইচ।

লেখক: সাংবাদিক



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭