ইনসাইড থট

প্রসঙ্গ ইভিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 25/11/2018


Thumbnail

অবশেষে ৬টি আসনের সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল শনিবার ইসি এমন সিদ্ধান্ত জানালেও এতে খুব বেশি চমক ছিল না। কারণ আগের দিনই ঘোষনা এসেছিল ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরবে না নির্বাচন কমিশন। এখন দেখার বিষয় বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে কি প্রতিক্রিয়া জানায়।

শনিবারে ৬টি সংসদীয় আসনে ইভিএম ব্যবহার করার ঘোষনা দেওয়া হলেও নির্বাচন কমিশনের সচিব জানান, কোন ৬টি আসনে এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে তা জানানো হবে ২৮ নভেম্বরের পর। আর এই আসনগুলো বাছাই করা হবে দৈবচয়ন ভিত্তিতে। এই ৬টি আসনের সবগুলো কেন্দ্রেই যদি ইভিএম ব্যবহৃত হয়, তাহলে কমপক্ষে ১০ লাখ ভোটার ইভিএমে তাদের ভোট দিবে, কাগজের ব্যলটের বদলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। শনিবার দিনে নির্বাচন কমিশন এমন ঘোষনা দিলেও রাত পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি বিএনপি থেকে। নিশ্চয় অল্প সময়ের মধ্যে আমরা এ ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান জানতে পারবো। তবে এ ব্যাপারে প্রশ্নটা অন্য জায়গায়।

দেশবাসী জানে যে, বিএনপি অনেকদিন থেকেই নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছিল। তাও আবার ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে। আওয়ামী লীগ সেনাবাহিনী চেয়েছে ইন এইড অফ সিভিল পাওয়ার হিসেবে। নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে জানিয়েছে যে ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকেই সীমিত আকারে সেনা মোতায়েন হচ্ছে। শনিবার ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণায় নির্বাচন কমিশন সচিব জানিয়েছেন, এই মেশিন ব্যবহারে মূল ভূমিকা পালন করবেন সেনা সদস্যরা। তাদের সহযোগিতায় থাকবেন নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা। এজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও শুরু হবে চলতি সপ্তাহেই। কমিশন সচিব আরও জানিয়েছেন ইভিএম সরবরাহ করবে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি। এটিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি প্রতিষ্ঠান। প্রশ্নটা হচ্ছে, যে রাজনৈতিক শক্তি নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে সশস্ত্র বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিতে চান, সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা এবং ভোটের সময় সেনাসদস্যরা যে ইভিএম পরিচালনা করবে, সেই পদ্ধতির বিরোধিতা কেন করছে? আমরাতো চাই অফিস আদালতে সাধারন মানুষের ভোগান্তি কমাতে আরো বেশি ডিজিটাল পদ্ধতি কার্যকর হোক। কারণ সরকারি দপ্তরে ঘুষ-দুর্নীতি কমানোর একটা কার্যকর দাওয়াই হচ্ছে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো। কারণ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মানুষের সরাসরি দেখা যত কম হবে, তত বেশি দুর্নীতি কমবে। এখন যেমন ই-টেন্ডারের ব্যবহার বেড়ে যাওয়াতে টেন্ডার নিয়ে সংঘাত তথা টেন্ডারবাজির অভিযোগও কমে বসছে।

ছয়টি নির্বাচনী আসনের সম্ভাব্য প্রায় ৯০০ ভোট কেন্দ্রে তাহলে বেশি করে সনাসদস্য মোতায়েন করা হোক। নির্বাচন কমিশন থেকে একথাও বলা হয়েছে সম্ভাব্য ৬টি আসন হবে সিটি করপোরেশন এলাকার ভেতরে। এটা আরো ভালো কারণ সিটি করপোরেশন এলাকা মানে শিক্ষিত ও সচেতন ভোটারের সংখ্যাই বেশি। আর সিটি করপোরেশন এলাকায় গনমাধ্যমের সক্রিয় উপস্থিতি রয়েছে। ফলে ইভিএম নিয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের যে আশংকা তা অনেকাংশে দূর করা সম্ভব হবে। যদিও নির্বাচন কমিশন বলেছে দৈবচয়ন ভিত্তিতে ছয়টি আসন বাছাই করা হবে, তারপরও আমরাও ছয়টি আসনের প্রস্তাব করতে পারি নির্বাচন কমিশনের বিবেচনার জন্য। বলা যায় রাজধানীর ভেতরে দুটি আসন হতে পারে, চট্টগ্রামেও দুটি হতে পারে। খুলনা ও রংপুরে দুটি হতে পারে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭