লিভিং ইনসাইড

প্রাণচঞ্চল করে তুলুন আপনার সন্তানকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 01/12/2018


Thumbnail

আপনার শিশু আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে। তাকে নিয়ে আপনার কতোই না স্বপ্ন। শিশু স্বভাবতই ছোটাছুটি করবে, দুষ্টুমি করবে, কখনো বায়না ধরবে- এভাবে সে আপনার সারা বাড়ি মাতিয়ে রাখবে। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির অতি ব্যবহার, পড়াশুনার অত্যাধিক চাপে সেই শিশুরাও যেন কেমন পড়েছে আজকাল। তাদের শারীরিক মানসিক বিকাশ আগের মতো হচ্ছে না। তবে আপনার সন্তানের শারীরিক ও মানসিক ভিত মজবুত করার জন্য তাকে খেলাধুলা ও হাসি আনন্দের মধ্যে দিয়ে আস্তে আস্তে বুদ্ধিমান ও মেধাবী করে তুলতে হবে।  

সন্তানকে খেলাধুলায় আগ্রহী করে তুলুন

সব শিশুই খেলাধুলায় ভালো হবে সেটা ভাবার কিছু নেই। সে নিজে থেকে আগ্রহী হলে সেটা ভালো কথা। আর তা না হলে বিনোদনের খাতিরে সন্তানকে খেলাধুলায় আগ্রহী করে তুলুন। আর সে যে খেলা পছন্দ করে তাকে সেটি খেলতে দিন। আপনার পছন্দের, কিন্তু তার অপছন্দের খেলা তার ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করবেন না, এতে মানসিক চাপ বাড়বে।

সে যদি প্রতিযোগীতামূলক খেলা পছন্দ না করে তাহলে তাকে সাঁতারের স্কুলে ভর্তি করে দিন। এছাড়া তাকে সেলফ ডিফেন্স কোর্সগুলো যেমন- মার্শাল আর্ট, ক্যারাটে বা তায়কোয়ান্দো স্কুলে ভর্তি করে দিতে পারেন। এই ক্লাসগুলো আপনার সন্তানদের সক্রিয় করে তুলবে। ভবিষ্যতে নিজেকে রক্ষা করতে শিখবে তারা। বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের জন্য এটি বেশি কার্যকর।

নাচ শেখান, বা গান

শিশুকে খেলাধুলায় আগ্রহী করতে না পারলে তাকে নাচ শেখান। এতে করে তার বিনোদনের পাশাপাশি সে শারীরিক পরিশ্রমও হবে। শারীরিক-মানসিক বিকাশও ভালোভাবে হবে। আর তাকে যদি সত্যিকার অর্থেই সংস্কৃতিমনা করে গড়তে চান, তাহলে তাকে গানের প্রতিও মনোযোগী করে তুলুন ছোটবেলা থেকে। বাবা-মায়েরা যদি গানে পারদর্শী হন, তবে নিজেই সন্তানের হাতেখড়ি দিন। আর বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গানের যাবতীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলুন।

সন্তানের সঙ্গে খেলুন, সময় দিন

শিশুরা বড়দের থেকেই বেশি শেখে। আপনি প্রাণবন্ত হলেই তবে সন্তানও প্রাণবন্ত হবে। তাই মাঝেমাঝে আপনিও তাদের সঙ্গে খেলতে বসে যান। তার সঙ্গে ছবি আঁকুন, বই পড়ে শোনান, এলোমেলো গান করুন। আর নিয়মিত পড়াশুনার খোঁজখবর নিন, নিজ থেকে পড়াতে বসান। এতে তার সবকিছুতে আগ্রহ বাড়বে। আপনার সঙ্গেও তার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হবে।

প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে সন্তানকে দূরে রাখুন

আপনার সন্তান ভিডিও গেম, স্মার্টফোন, কম্পিউটার বা টেলিভিশনের দিকে বেশি না ঝোকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তাকে এগুলো ব্যবহার করতে দিন, তবে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে দেবেন না। তারা যাতে এগুলোতে আসক্ত না হয় সেই চেষ্টা করুন। তা না হলে সে অলস এবং অসামাজিক হয়ে উঠতে পারে। শারীরিক আর মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্তও হতে পারে।

তাকে হাঁটতে, ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করুন

আজকাল শিশুরা দিন দিন কেমন যেন অলস হয়ে যাচ্ছে। তারা বাইরে যেতে চায় না, ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটিতে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। অভিভাবক হিসেবে আপনার উচিৎ সন্তানকে হাঁটতে উৎসাহী করা। তাদের প্রতিদিন সকালে হাঁটতে আর ব্যায়ামের অভ্যাস করাবেন। আপনিও তাদের সঙ্গে যোগ দিন। এতে সময়টাও ভালো কাটবে।

পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে যান

একঘেয়েমি জীবন না কাটিয়ে মাঝেমাঝে সন্তানদের নিয়ে পরিবারের সবাই একসঙ্গে ঘুরে আসুন। বাড়ির কাছাকাছি কোনো যাওয়ার মতো স্থানে যেতে পারেন। বা আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে করে ফেলুন মজার কোনো পিকনিক। এতে আপনার সন্তানরা পারিবারিক বন্ধনগুলো শিখবে।

বাংলা ইনসাইডার



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭