ইনসাইড পলিটিক্স

মনোনয়ন নিয়ে জিয়া পরিবারে গৃহদাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 01/12/2018


Thumbnail

বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে বেগম জিয়ার পরিবার তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার সহ তাঁর আত্মীয়রা তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অভিযোগ এনেছেন। এ নিয়ে জিয়া পরিবারে তীব্র বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এবার নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ২০ জনের একটি নামের তালিকা দিয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিবের কাছে। প্রয়াত সাইদ ইস্কান্দারের স্ত্রীও বিএনপি মহাসচিবের কাছে ৬ জনের একটি তালিকা দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কারাবন্দী বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এইসব প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলেন। বেগম জিয়া তাদের এই তালিকাগুলো মহাসচিবকে দেওয়ার পরামর্শ দেন। বেগম জিয়া তাদের এটাও বলেছিলেন যে, তিনি মির্জা ফখরুলকে এ ব্যাপারে বলে দেবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপি নেতারা কারাবন্দী বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। ঐ সাক্ষাতে বেগম জিয়া মির্জা ফখরুলকে তাঁর পরিবারের পছন্দের কয়েকজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার নির্দেশ দেন। মির্জা ফখরুল এটা করা হবে বলে বেগম জিয়াকে আশ্বস্ত করে আসেন। এরপর শামীম ইস্কান্দার তাঁর এবং তাঁর বোনের তালিকা বিএনপি মহাসচিবকে হস্তান্তর করেন। এছাড়াও প্রয়াত কোকোর স্ত্রী তাঁর ঘনিষ্ঠ পাঁচ নিকটাত্মীয়কে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য বিএনপি মহাসচিবকে অনুরোধ করেন। মহাসচিব তাঁকেও আশ্বস্ত করেন। কিন্তু মনোনয়ন বোর্ডের সভায় স্কাইপে যুক্ত হয়ে নেতৃত্ব দেন লন্ডনে পলাতক বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। তিনি ঐ ৩১ জনের একজনকেও প্রাথমিক মনোনয়ন দেননি।

জানা গেছে, প্রাথমিক মনোনয়নপত্র ঘোষণার পর শামীম ইস্কান্দার এবং শর্মিলা দু‘জনই মির্জা ফখরুলের কাছে বিষয়টি জানতে চান। সূত্রমতে, বিএনপি মহাসচিব এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কারোরই কিছু করার ছিল না, মনোনয়ন সবই করেছেন তারেক সাহেব। কিন্তু শামীম ইস্কান্দার এতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এরপর বেগম জিয়ার আত্মীয়রা বেগম জিয়ার সঙ্গেই সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিয়েছেন। বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন আমাদের সঙ্গে তারেক জিয়ার সম্পর্ক ভালো না।’ তাঁর মতে, ‘বেগম জিয়ার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তারেক জিয়ার আপত্তির কারণে খালেদা জিয়ার পরিবারের কেউ বিএনপিতে যুক্ত হতে পারছেন না। ঐ নেতা এটাও জানান, ‘তারেক বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার পর একবারও মামা এবং খালাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না।’ ঐ নেতা এটাও জানান যে, ‘প্রয়াত কোকোর স্ত্রীর সঙ্গেও তারেক জিয়ার সম্পর্ক খুব একটা ভালো না।’

বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, তারেক জিয়া বিএনপির নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব নিয়েছেন। এখন বেগম খালেদা জিয়ার কথারও কোনো দাম নাই। ঐ সূত্র মতে বেগম জিয়া জেলে যাবার আগে থেকেই তারেক জিয়া দলের কর্তৃত্ব নিয়েছিলেন। দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বেগম জিয়ার ভূমিকা ছিল নামমাত্র। এবার মনোনয়নে তারেক বিএনপির একক নেতায় পরিণত হলেন।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭