ইনসাইড পলিটিক্স

বিদেশে বিএনপি নেতাদের সম্পদের পাহাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 02/12/2018


Thumbnail

রাজনীতির মূল লক্ষ্য হলো জনকল্যাণ, জনগণের সেবা করা। কিন্তু বাংলাদেশে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পরে রাজনীতির সংস্কৃতিকে বদলে দেওয়া হয়েছে। রাজনীতি এখন অনেকের কাছেই মানবকল্যাণ ব্রত নয়, রাজনীতি এখন এক ব্যবসা। বিএনপি নেতাদের ব্যাপারে ‘গ্লোবাল ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক’ (জিআইএন) এর প্রতিবেদন পড়লে, ধারণা হতেই পারে ‘রাজনীতি আসলে টাকা বানানোর মেশিন। জার্মানভিত্তিক এই সংগঠনটির রাজনৈতিক নেতাদের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করে। এই সংস্থাটি দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের দুর্নীতির খবর প্রথম উন্মোচন করেছিল।

জিআইএন এর প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, শুধু বেগম জিয়া এবং তাঁর পরিবার নয়। বিএনপির নেতারা হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন দেশের বাইরে। বাংলাদেশ থেকে টাকা লুট করে সম্পদ গড়েছেন তারা নিরাপদ দেশগুলোতে। বিএনপির এরকম ২৩৭ জনকে পাওয়া গেছে, যাঁরা বিদেশে অবৈধ সম্পদ রেখেছেন।

অবৈধ সম্পদের শীর্ষে আছেন বেগম জিয়া ও তাঁর পরিবার। বেগম জিয়ার দুবাইতে অবৈধ সম্পদের ব্যাপারে বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন গত সপ্তাহেই প্রকাশিত হয়। গ্লোবাল ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্কের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু দুবাই নয় অন্তত ১২ টি দেশে জিয়া পরিবারের সম্পদ আছে,যার প্রাক্কলিত মূল্য এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। সৌদি আরবের জনৈক আহমদ আল-আসাদের নামে ‘আল আরাবা’ শপিং মলটি। কিন্তু শপিং মলের মালিকানার দলিলে দেখা যায় বেগম জিয়ার নাম। কাতারে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন ‘ইকরা’র কাগজে কলমে মালিক একজন বাংলাদেশি। কিন্তু নথিতে দেখা যায়, এই সম্পদের পুরো মালিকানা আরেক দলিলের মাধ্যমে প্রয়াত আরাফত রহমান কোকোর কাছে হস্তান্তর করা। বেগম জিয়ার ভাস্তে শাহিন আহমেদ তুহিনের নামে কানাডায় তিনটি বাড়ি পাওয়া গেছে। অটোয়ার ওই বাড়িগুলো তুহিন ২০০৪ থেকে ২০০৬ সালে কিনেছেন। শামীম ইস্কান্দারের নামে মরিশাসের ‘বিচ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট’ কেনা।

শুধু জিয়া সরকার কেন, বিএনপি সরকারের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফের রয়েছে সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে তে বিলাসবহুল হোটেলের শেয়ার। মেরিনা বে হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের ১৩ হাজার শেয়ারের মালিক তিনি। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ২০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার অর্থাৎ ১১ লাখ টাকা। খন্দকার মোশারফের সিঙ্গাপুরে দুটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। মালয়েশিয়ায় রয়েছে তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট।

বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের নামে লন্ডনের স্ট্রাটফোর্ড ও অলগেটে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। লন্ডনে বাড়ি আছে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদেরও। এই সব বাড়িই ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে কেনা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রীর নামে দুবাইতে রয়েছে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট। সিঙ্গাপুরে মির্জা আব্বাস তাঁর সন্তানের নামে কিনেছেন দুটি অ্যাপর্টমেন্ট। মালেশিয়ায় মির্জা আব্বাসের স্ত্রীর নামে রয়েছে ‘সিটি সেন্টার-২’ এ তিনটি ২৫০০ বর্গফুটের বাণিজ্যিক স্পেস।

বিএনপির আরেক নেতা নজরুল ইসলাম খানের রয়েছে সিঙ্গাপুরে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট।

এসব স্বনামে সম্পত্তির পাশাপাশি বিদেশে বিএনপি নেতাদের বিপুল সম্পদ রয়েছে বেনামে। যেগুলো পৃথক গোপন দলিলের মাধ্যমে মালিকানা নিশ্চিত রাখা হয়েছে বলে জিআইএন- এর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭