প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপদ বলয়ে রাখুন

আমি পূর্বে লিখেছিলাম, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা জরুরি। আজ এই সময়ে এসে বলতে বাধ্য হচ্ছি, প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপদ বলয়ে রাখুন। 

সকালের সূর্য সারাদিনের চরিত্রকে বুঝিয়ে দেয় অনেকটাই। তবে আলাদা কিছু হয়না তেমন নয়।

যদি বুঝে থাকেন তাহলে বিএনপির নমিনেশন প্রাপ্ত ব্যক্তিদের দিকে দেখুন। শক্তিমান অনেক নেতাকেই নির্বাচনের বাইরে রেখে নমিনেশন বিক্রি হয়েছে বাজারের মুড়ির মতো। একটি আসনে বিএনপির প্রার্থীদের সংখ্যা দেখুন।  তাহলেই প্রমাণ হয়ে যাবে তারা নির্বাচনে জয়ের আশা নিয়ে বা সত্যিকার নির্বাচন করতে এসেছে কি না।  বলা বাহুল্য দেশের একটি বৃহৎ উদীয়মান সমাজ রয়েছে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যাদের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে চিহ্নিত নয় অথচ মানুষিক ভাবে স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া বিশেষ বুদ্ধিজীবী মহল।  তারা মুখে যাই বলুক কার্যত দেশ দাঁড়িয়ে আছে ভয়ঙ্কর ঝুঁকির সামনে। 

তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রশাসন হাত বদলের সুযোগে একটু একটু করে সংঘবদ্ধ হয়ে চলেছে বিপদের সূত্রগুলি। মরণ কামড় দেবে না এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। 

তবলিগ জামাতের নিজেদের মধ্যে বিভক্তি পূর্বেও ছিল,  কিন্তু এবারের তবলিগ জামাতের চিত্র বলে দেয় বিশেষ একটি মহল সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে অপেক্ষমাণ। এটি একটি ট্রায়াল বলাই যায়। 

সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী ১১ ডিসেম্বরের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় নিজের দলের পক্ষে মাঠে নামবেন। দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ২য় কোনো শেখ হাসিনার জন্ম আওয়ামী লীগ দৃশ্যত এখনো দিতে পারেনি।  অনেক শিক্ষিত, অনেক নেতা, অনেক ব্যবসায়ী,  অনেক আইনজীবী আছে, তবে আর একজন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মাটিতে নেই।  রাজনীতি,  দূরদর্শিতা, কূটনৈতিক জ্ঞান, তাৎক্ষনিক কার্যকর সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা, প্রতিকূলতার মধ্যে বুকচিতিয়ে দাঁড়ানোর মতো ক্ষমতা, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ নামক শব্দ চিৎকার করে বলার মতো সাহসী ২য় কোনো নেতা দৃশ্যমান নয়। 

নির্বাচনে তিনি হারবেন কি জয় পাবেন সেটা ভিন্ন বিষয়, তবে তার মতো মানুষের বাংলাদেশের জন্য দরকার। যেমন: দরকার হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে একদিন। 

২১ আগস্ট হয়তো তাঁকে হারাতে হয়নি আল্লাহর রহমতে, আরও অনেক বিপদের হাত থেকে ফিরে এসেছে বহুবার। 

এবারের মরণ কামড় আরও তীব্র হবে বলেই মনে করি।  আওয়ামী লীগের অন্য নেতাদের উচিত তাঁকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা। একিই সঙ্গে প্রশাসন নিশ্চয়ই শেখ হাসিনার গুরুত্ব অনুধাবন করবেন।  অন্তত তারাও সেটা বুঝবেন যে, হারজিত অন্য বিষয়। তবে কোনো ক্রমেই যেন তিনি নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে না চলে যান। 

আল্লাহ্‌ সবসময় তাকে রহমতের ছায়ায় রাখুন। 


লেখক: কলামিস্ট, সাধারণ সম্পাদক, দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন