ইনসাইড আর্টিকেল

বাতিল মনোনয়পত্রের আপিল শুনানি হবে কীভাবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 06/12/2018


Thumbnail

বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। এ নির্বাচন বাংলাদেশ সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনে অংশ নিতে ৩ হাজার ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাচাইয়ের পরে ৭৮৬ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসাররা। এর ফলে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা বর্তমানে ২ হাজার ২৭৯ জনে।

৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে বাতিল হওয়া মনোনয়নের বৈধতার জন্য আপিল করেছেন বেশির ভাগ প্রার্থীই। ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল করেছেন ৫৩৫ জন প্রার্থী। ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিলকৃত এ মনোনয়নের উপর শুনানি করবে কমিশন।  আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিন চলবে আপিল শুনানি। তিনদিনে এসব আবেদন নিষ্পত্তি করতে হিমশিম খেতে হবে ইসিকে। আপিল নিষ্পত্তির জন্য এজলাস স্থাপন করা হয়েছে। একক এজলাসে চলবে শুনানি। ইসি সূত্র বলছে, আপিল নিষ্পত্তি করতে প্রার্থী প্রতি খুব বেশি সময় মিলবে না। এ নিয়ে প্রার্থীরাও রয়েছেন শঙ্কায়। তারা বলছেন, কিছু বিষয়ে আইনি যুক্তিতর্কের প্রয়োজন রয়েছে। আপিলে প্রার্থীর জন্য নির্বাচন কমিশনকে সে সুযোগ দিতে হবে।

ঋণ খেলাপি, ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়ন, ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়া, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকা, লাভজনক পদে থাকা, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা, সমর্থকদের স্বাক্ষর ও তালিকায় গরমিল এবং সরকারি সেবা সংস্থার বিল পরিশোধ না করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আপিল আবেদন করেন প্রার্থীরা। তবে ঋণখেলাপি, আয়কর রিটার্ন না দেয়া, স্বাক্ষরে গরমিল ও ফৌজদারি মামলায় সাজার কারণে সবচেয়ে বেশি আপিল জমা পড়ে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও তালিকায় গড়মিল থাকায় আপিল আবেদন করেন অধিকাংশ প্রার্থী।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে আদালতের মতোই শুনানি করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশন একটি আধাবিচারিক সংস্থা। নির্বাচন কমিশনারদের মর্যাদাও হাইকোর্টের বিচারপতিদের সমান। শুনানিতে আপিলকারীরা তাদের আইনজীবী নিয়ে আসতে পারবেন। সেখানে আদালতের বেঞ্চ’র মতো করেই তারা মুভ করবেন। সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনই আপিল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা পালন করে। সংক্ষুব্ধরা ইসির সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হলে আদালতেও যেতে পারবেন। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের ১১ তলায় শুনানি হবে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনে জটিল পরিস্থিতি এবং চ্যালেজ্ঞ বাংলাদেশের বিগত নির্বাচন কমিশনগুলোর বিশেষ করে ১৯৯০ সালের পরের কমিশনগুলোর কোন কমিশনকেই মুখোমুখি হতে হয়নি। নির্বাচন কমিশনকে সংবিধানের ১১৯ ধারায় ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ঐ ধারার আওতায় নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধান বা প্রচলিত আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, এমন যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কমিশন সংরক্ষণ করে।

উল্লেখ্য, ২৮শে নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে ৩০৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। ২ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র বাছাই। ওইদিন ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র  বৈধ ও ৭৮৬টি অবৈধ বলে  ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এগুলোর মধ্যে বিএনপির ১৪১টি, আওয়ামী লীগের ৩টি এবং জাতীয় পার্টির ৩৮টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৩৮৪টি। আগামী ৯ই ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ই ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ৩০শে ডিসেম্বর ভোট হবে।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ/জেডএ  



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭