ইনসাইড আর্টিকেল

‘স্বাধীনতা বিরোধীরা রাজনীতির নাম নেওয়ার সাহস পাবে কেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 10/12/2018


Thumbnail

আমাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছে বা দেখেনি, সবার কাছেই। তবে মুক্তিযুদ্ধকে যারা প্রত্যক্ষ করেছে, আর যারা প্রত্যক্ষ করেনি- তাদের আদর্শ অনেকটাই আলাদা। আমাদের বর্তমান বড় একটা প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধকে দেখেনি। তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ও তার চেতনা ধারণ নিয়ে আমরা জানতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান ও তালিকা, রাজাকারদের পরিণতি ও রাজনীতিতে আসীন থাকা, মুক্তিযোদ্ধা কোটার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে তরুণরা কি ভাবছে, বিজয়ের মাসে সেগুলো নিয়ে থাকছে বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ আয়োজন ‘বিজয়ের মাসে প্রজন্মের ভাবনা’।

ফারহান আলম হৃদয়

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়নরত

রাজনীতি তো দেশের স্বার্থে দশের স্বার্থে। রাজনীতির ‘মটো’ বলতেতো আমরা এটাই বুঝি। তাহলে এদেশের জন্মলগ্নে যারা এ মাটির মুক্তির বিরুদ্ধে ছিল তারা এখন কেন পক্ষে যাবে? এই সহজ কথা বুঝতে তো বোদ্ধা হওয়ার প্রয়োজন নেই। যারা জন্মই চায়নি তারা ভালো কি করে চাইবে? গত দশ বছর ছাড়া চোখে পড়ার মতো কোনো উন্নয়ন দেশে হয়নি কারণ স্বাধীনতা বিরোধীরা সক্রিয় ছিলো। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে তাদেরকে অনেকটাই নিস্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে বিধায় উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ব্যাপক হয়েছে বলেই আমি মনে করি। সুতরাং এই অগ্রগতি ধরে রাখতে এবং বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশকে একটি কলংকমুক্ত জাতি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি নিষিদ্ধের কোনো বিকল্প নেই।

এ প্রজন্মের একজন হিসেবে আমি অবশ্যই চাই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা। বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের প্রতি সম্মান দেখানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।মৌলবাদ জঙ্গীবাদের মদদপুস্ট স্বদেশ বিরোধীদের রাজনৈতিক অধিকার মূলত এদেশের জনগণকে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে অন্ধকারের দিকেই ঠেলে দিবে। সুতরাং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের উতপাটন সামাজিক এবং রাজনৈতিক উভয় ভাবেই প্রয়োজন। আর ভবিষ্যত বাংলাদেশ সামাজিক রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক এবং নৈতিকভাবে কতটা সমৃদ্ধ হবে সেটা নির্ভর করছে তরুণ প্রজন্মকে কতটা মুক্তিযুদ্ধের গাথুনিতে গাথা হচ্ছে তার উপর।

তরুণ প্রজন্মের একজন প্রতিনিধি হিসেবে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি আমাদেরকে যদি সত্যিকার অর্থে ছোটবেলা থেকে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক ধারণা ধারণ করিয়ে দেওয়া হয় আমরা একদিন বিশ্ব দরবারে সবদিক থেকে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে বিবেচিত হবো। বিজয়ের মাসে একটা অনুরোধ করে শেষ করবো। সেটা হলো আমরা রাজনৈতিকভাবে যে যেই আদর্শই ধারণ করি না কেন আমরা যেনো কখনও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির মতো ঘৃণ্য কাজ না করি।

বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক দল থাকতে পারে কিন্তু সব দল কে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষেরই হতে হবে আক্ষরিক অর্থে। এক্ষেত্রে আপোষ করা মানে তো নিজের মাকে শত্রুর হাতে তুলে দেওয়া। আমাদের বিবেক যেন এতটা বিবর্জিত না হয়ে যায় যে আমাদেরকে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিকে কাছে টানতে হবে। সেই বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। একটি সুখী সমৃদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা একজন সাধারণ তরুণের পক্ষ থেকে সকলকে বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭