ইনসাইড থট

তারেক জিয়ার মরণ কামড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 11/12/2018


Thumbnail

মনোনয়ন বাণিজ্যে পাওয়া টাকা তারেক জিয়া নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যয় করবেন। এসব টাকা দেশে বিদেশে ছড়িয়ে বিএনপি ভোটের পাল্লা ভারী করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

ঋণ জালিয়াতি করে যে হাজার হাজার কোটি টাকা তারেক জিয়া পাচার করিয়েছিলেন, তার থেকেও এখন তারেক বখরা নিচ্ছেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের ছেলে ফয়সাল খান একটি ব্যাংকের মালিক। ঋণ জালিয়াতি আর সিটিসেলের ভিওআইপি’র মাধ্যমে কামানো অবৈধ পাচার করা টাকায় তিনি শ্রীলঙ্কায় একটি ব্যাংকের মালিক। অন্য কোম্পানিরও শেয়ার আছে তাঁর। পানামা পেপারস আর প্যারাডাইস পেপারে তাঁর নাম এসেছে একাধিকবার। নেপালে এনবিবিএল ব্যাংকের মালিক বাদল একসময় ছিলেন তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারি। তিনি এল আর এল গ্লোবাল নামে ১৯৯৬ সালে শেয়ার বাজার থেকেও হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তারেক রহমানের সহায়তায়। ২০১০ সালের শেয়ার কেলেংকারীতেও হাজার কোটি টাকা লোপাট করে পাচারে তাঁর নাম আছে। টাকা পাচারের দায়ে ওয়াশিংটনে এক বিএনপি নেতা গ্রেফতার হন এফবিআই এর হাতে। বিএনপি নেতা আসলামের নামে ১৩৫ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ আছে। বিএনপি আমলে শুধু সোনালী ব্যাংক থেকে জালিয়াতি হয় প্রায় ১৭হাজার কোটি টাকা। এটা সবাই জানেন যে, হলমার্কের তানভির আসলে হাওয়া ভবনের লোক। তারেক জিয়া সুইস ব্যাংকে ২৬ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে প্রমাণ আছে। সিপিডিকে দিয়ে তারেক জিয়া এসব ব্যাংক ঋণ জালিয়াতি পাচারের কথা ধামাচাপা দিতে চান। এছাড়া প্যারাডাইস পেপার অনুসারে ২০০৪-২০০৫ সালে কেইম্যান আইল্যান্ডে এবং বারমুডায় তারেক জিয়া ২ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছেন। এর বাইরেও জিয়া পরিবারের অন্য সব সদস্যদের দুর্নীতির বিস্তর খবর বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়েছে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার বাইরেও কোকোর দুর্নীতির কথা জাতিসংঘ ও বিশ্ব ব্যাংকের হ্যান্ডবুকে রয়েছে। এর সামান্য কিছু টাকা সরকার ফেরত এনেছে। এসব পাচার করা টাকায় নষ্ট বুদ্ধিজীবীদের কিনে তারেক জিয়া আগামী নির্বাচনে তাঁর মরণ কামড় দিতে চান। কিন্তু ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এক চিঠি তারেক জিয়ার হিসেব একটু উলটে দিয়েছে বলে বিশ্বাস করার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।         

একাধিক জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টালের খবরে বলে হয়েছে যে, ‘বিএনপি, জামাত ও ঐক্যফ্রন্টের ৪৭ জন প্রার্থীর ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের কাছে আজ সোমবার এই ৪৭ প্রার্থীর তালিকা পাঠিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। দূতাবাসটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্সের নীতি মেনে চলে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এটাই মনে করে, যেসব ব্যক্তি কিংবা দল সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত সে বা তারা কখনোই গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক হতে পারেনা। বরং গণতন্ত্রের জন্য বিপদজনক তারা। এ পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ বিএনপি তাদের যে চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেছে তাদের মধ্যে বাছাই করা ৪৭জনের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। এছাড়াও দূতাবাস ড. কামাল হোসেনের কাছে এই তালিকা পাঠিয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে, তিনি যেন এই ৪৭ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করেন। পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও যেন তাদের পক্ষে নির্বাচনের মাঠে কাজ না করেন।        

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক একসময়ের তুখোড় কমিউনিস্ট অধ্যাপক আলী রিয়াজ এলিয়েন হয়ে বাংলাদেশের এসে সব তথ্য নিয়ে যাচ্ছেন। এমন কি তিনি ঢাকা থেকে প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার দূরে বসে বাংলাদেশে মানুষের মনের খবর জেনে বিবিসিকে সাক্ষাতকার দিচ্ছেন, কী হলে কী হয়, আগামী নির্বাচনে কী করে কী হবে ইত্যাদি। তিনি বলেছেন যে, বাংলাদেশের বিকাশমান অর্থনীতি হওয়ার পরেও কর্তৃত্ববাদী শাসন, সমাজ ও রাজনীতির ইসলামীকরণ, নয়া প্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়া বিস্তার ও বিপুল সংখ্যক তরুণ ভোটারের ফলে আওয়ামী লীগের জোট সরকারের আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভালো করবে না। ‘এলিয়েন’ অধ্যাপকের কথা শুনে মনে হতে পারে যে, গত ১০ বছরে কোনো মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে বা এই চেতনায় বিশ্ববাসী কারো পরিবারের কেউ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে শেখেনি বা তাঁদের পরিবারে কেউ নতুন ভোটার হয়নি। যা হয়েছে সব রাজাকার বা তাঁদের দোসরদের পরিবারের লোক। ২ কোটি নতুন ভোটার সবাই ধানের শীষে ভোট দেবে এমন কল্পনা সুস্থ্ কেউ করতে পারেন কি! 

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭