ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকা-১৩: মাঠে নৌকা, দেখা মেলেনি ধানের শীষের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 11/12/2018


Thumbnail

হাতের কাছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হতে আর মাত্র ১৮ দিন বাকি। এর মধ্যে প্রার্থীরা প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী মাঠে প্রচার ও প্রচারণায় নেমেছেন। প্রচারণা জমে উঠেছে নির্বাচনী আসনগুলো। তবে অনেক আসনে জমে উঠেনি নির্বাচনী প্রচার ও প্রচারণ। কোন কোন আসনে সুনসান নীরবতাও কাজ করছে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনী উত্তাপ যে বইছে তা বলায় অপেক্ষা রাখে না। শেরেবাংলা নগর, আদাবর ও মোহাম্মদপুর নিয়ে ঢাকা -১৩ সংসদীয় আসনে (সাবেক ঢাকা-৯) আস্তে ধীরে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা।মঙ্গলবার ঢাকা-১৩ এর সংসদীয় আসন ঘুরে নির্বাচনী প্রচারণর হালচালের খবর তেমন একটা পাওয়া যায়নি। এ আসনে নির্বাচনী মাঠে নৌকা প্রতীকের অবস্থান দেখা গেলেও চোখে পড়েনি ধানের শীষের।

জানা গেছে, ঢাকা-১৩ আসনে মহাজোট থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান। সাদেক খান দীর্ঘ দিন ধরে মোহাম্মদপুর এলাকার কাউন্সিলর ছিলেন। এর আগে এই আসন থেকে প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে প্রার্থী হয়েছে মো. আব্দুস সালাম। এ ছাড়াও এ আসনে অন্যান্য দলের প্রার্থী রয়েছেন। ঢাকা-১৩ পূর্বে ঢাকা-৯ আসনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৯১ সালে আসনটিতে জয় পান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মকবুল হোসেন জয় পান। ২০০১ পুনরায় আসনটি দখলে নিয়েছিল বিএনপি।

সরেজমিনে ঢাকা-১৩ এর সংসদীয় আসনের বিভিন্ন স্থানের নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠ ছিল প্রায়ই নীরব। মোহাম্মদপুর, আদাবর, শ্যামলী এলাকায় ঘুরে সাদেক খানের কয়েকটা পোস্টার ও ফেস্টুন দেখা গেলো আব্দুস সালামের ধানের শীষের কোন প্রচারণ চোখে পড়েনি। আদাবর উত্তর মার্কেট এলাকায় আতাউর নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এ প্রতিবেদককে জানান, নির্বাচনী প্রচারণা এখনও তেমন একটা শুরু হয়নি। তবে দু এক দিনের মধ্যেই শুরু হবে এমনটি মনে করেন তিনি। আদাবর উত্তর মার্কেট এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের অস্থায়ী একটি তাবুতে গিয়ে প্রচার ও প্রচারণায় কর্ম-ব্যস্ততা দেখা যায়নি। অলস সময় কাটানো আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মীর সাথে দেখা হলে তারা জানান, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হতে আর বেশি বাকি নেই। খুব দ্রুতই ভোটারদের কাছে যাবেন তাদের প্রার্থী। প্রচারণার উপকরণ যেমন পোস্টার ও ফেস্টুন এখনও তৈরি হচ্ছে।

এ সংসদীয় আসন ঘুরে বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী সিপিবি’র সম্পাদক খান আহসান হাবীব লাবলুর কাস্তের মার্কার প্রচারণ অল্প বিস্তার দেখা গেলেও চোখে পরেনি আব্দুস সালামের ধানের শীষের প্রচারণা। অত্র এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সম্পর্কে জানা গেলে বিএনপির প্রার্থীর প্রচারণা সম্পর্কে কোন খবর জানা যায়নি। অনেকেই এক কথায় উত্তর দিয়েছেন, ‘বিএনপির প্রার্থী কে তাই জানি না, প্রচারণাও দেখি না। তাহলে কিভাবে তার সম্পর্কে বলব।’ বিএনপির প্রচারণা না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয়রা কিছুই বলতে পারেননি। বেসরকারি একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা শিউলি আক্তার (ছদ্ম নাম)বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যে দলেরই খবর জানতে চান, তারা কেউই এখন পর্যন্ত ভোটারদের দুয়ারে ভোট চাইতে আসেননি। হয়ত শীঘ্রই আসবেন।’

তবে প্রচারণা যে ভাবেই হোক না কেন ভোটে নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে তুমুল লড়াই হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। নির্বাচনী প্রচার ও প্রচারণা জোর দিয়ে খুব দ্রুত শুরু হবে এবং প্রচারণায় মাঠ বেশ গরম থাকবে স্থানীয়দের কথায় এমনটি জানা যায়। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা হাতে পাবেন ১৭ দিনেরও কম।

উল্লেখ্য, অনেক বিধি নিষেধ মেনে প্রার্থীদেরকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলেই ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন।

বাংলা ইনসাইডার/এমএস/জেডএ  



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭