লিভিং ইনসাইড

বিয়ের নিমন্ত্রণে হোক প্রার্থীর প্রচারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 13/12/2018


Thumbnail

বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই শীতের মৌসুম এলেই যেন বিয়েশাদির ধুম পড়ে যায়। আজ অমুকের বিয়ে তো কাল তমুকের বিয়ে। দেখা যায় সব বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করাও কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু ধরুন আপনি নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন, প্রার্থী হিসেবে আপনার প্রচারণাও চলছে পুরোদমে। আপনি তো জনসভা, পথসভা, মিছিল, শোডাউন করছেনই। এগুলো আর ৫-১০টা প্রার্থীও করবে। আপনার সবার আগে প্রয়োজন সামাজিক সম্পৃক্ততা। সেটা যেভাবেই হোক আপনাকে করতে হবে। না হলে সবার মাঝে আপনার গ্রহণযোগ্যতা আসবে না। অন্য সব আনুষ্ঠানিকতা করলেও একটু আলাদাভাবে সবার মাঝে মিশে যান। আপনি যেহেতু প্রার্থীতা পেয়েছেন, এলাকায় আপনাকে সবাই চেনে এবং জানে। আপনি অনেক বিয়ের অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পাবেন। আপনি তেমনই বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন। এর মাধ্যমে বড় একটি প্রচারণাও হয়ে যেতে পারে। একটু আলোচনা করলেই বোঝা যাবে বিষয়টি যথেষ্ট কার্যকর হতে পারে একজন প্রার্থীর জন্য।

সামাজিক অনুষ্ঠান হিসেবে বিয়ে আপনার প্রচারণায় ইতিবাচক হতে পারে যদি আপনি কিছু বিষয় মেনে চলেন। বাংলা ইনসাইডার আপনাকে এমন কিছুই জানাবে আজ-

১. আপনি হয়তো সময়ের অভাবে আর ব্যস্ততায় সব আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেন না। কিন্তু খোঁজ নিন যে আশেপাশে কোথায় আমন্ত্রণ পেলেন, কোথায় গেলে আপনি বেশি মানুষের কাছে যেতে পারছেন। কারণ সেখানে গেলে আপনাকে সবাই দেখবে, আপনার সম্পর্কে অবগত হবে। তাই খোঁজখবর রাখুন।

২. আমন্ত্রণে গেলে তো আপনাকে অবশ্যই কিছু উপহার নিতে হবে। তবে প্রার্থী হিসেবে আ্পনি ভিন্ন কিছু নিন। হতে পারে সেটা ফুল দিয়ে তৈরি কোনো জমকালো তোরণ, প্রতীক। আবার সময়োপযোগী কোনো উপহার হতে পারে। এতে করে আপনি সবসময়ের জন্য তাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে যেতে পারেন।

৩. বিয়ের যে মূল আকর্ষণ, সেই বর কনেকে আলাদাভাবে সময় দিন। তাদের সঙ্গে কথা বলুন, ছবি তুলুন। তাদের পরবর্তী জীবনের জন্য আশির্বাদ করুন। এতে উপস্থিত সবার দৃষ্টি অবশ্যই দিকে আলাদাভাবে যাবে। অভিভাবকদের সঙ্গেও আলাদা কথা বলুন, মতবিনিময় করুন।

৪. আপনি আমন্ত্রণে শুধু নিয়মরক্ষা করেই চলে আসবেন না। আপনার দলের অন্যান্যদের নিয়ে কিছু হলেও খাওয়া দাওয়া করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অন্যান্য সাধারণদের সঙ্গেই খাওয়াদাওয়া করুন। সেই ফাকে কিছু গল্পও করে নিন, সবার কুশলাদি জানুন। আপনার প্রচারণার খোঁজখবর দিন। মোট কথা, তাদের কাছে যান পরিবারের সদস্যদের মতো।

৫. আপনাকে এসব অনুষ্ঠানে যেতে হবে শালীনভাবে, সবার সামনে আপনাকে উপস্থাপনও করতে হবে শালীনভাবে। আপনি সবার উদ্দেশ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে পারেন। আপনি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে পারেন। আপনি তাদের পাশে আছেন, এটা তাদের বোঝাবেন।

তবে আপনি নেতিবাচক হয়ে যেতে পারেন, যদি আপনি ধরেন বিশাল দলবল নিয়ে প্রচারণা, শোডাউনের স্টাইলে চলে গেলেন সেই অনুষ্ঠানে। সেখানে গিয়ে শ্লোগান বা ভাষণ দিয়ে অনুষ্ঠানের মুডটাই পাল্টে দিলেন। সেক্ষেত্রে উল্টে আপনাকে আরও অপছন্দ করবে। আবার গিয়ে কোনো বিষয় নিয়ে বিশৃঙ্খলা করলেন বা পরিবেশ নষ্ট করলেন- তাতে উপস্থিত সব অতিথিরা আরও বিব্রত হয়ে উঠবে। আপনি নিজেকে জাহির করতে যাবেন না, প্রতিপক্ষের বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু বলবেন না। মনে রাখবেন আপনি স্রেফ সেখানের অতিথি। আপনার উদ্দেশ্য আপনাকে ইতিবাচকভাবে ফুটিয়ে তোলা।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭