আপনার স্মার্টফোনের সুরক্ষায়…

আপনার সার্বক্ষণিক সঙ্গী আপনার প্রিয় স্মার্টফোনটি। ফোনটি আপনি অনেক কাজে ব্যবহার করেন। ছবি তোলা বা গান শোনা থেকে শুরু করে আপনার অফিসিয়াল যাবতীয় কাজে এখন স্মার্টফোন অত্যাবশ্যকীয়। কিন্তু যে ফোনটি আপনার এতো জরুরি, তার কিছু রক্ষণাবেক্ষণও তো আপনাকে করতে হবে। মোট কথা, সুরক্ষিত রাখতে হবে আপনার ফোনটি। এজন্য আপনাকে এই বিষয়গুলোর দিকে অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে-

অ্যান্টিভাইরাস

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের ক্ষমতা প্রায় একটি কম্পিউটারের কাছাকাছি। তাই কম্পিউটারের মতো সহজেই স্মার্টফোনটি ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এজন্য অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটিতে অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করা প্রয়োজন। এর ফলে অধিকাংশ ভাইরাসের কবল থেকে স্মার্টফোনটি রক্ষা পাবে।

নিরাপদ অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য অসংখ্য সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। ব্যবহারকারী নিজের অজান্তেই অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিকর অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করেন। এর থেকে বাঁচতে বিভিন্ন স্মার্টফোন নিরাপত্তা সংস্থাগুলো কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার আগে এর নির্মাতা ও প্রদানকারী সাইট সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দেন।

অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার সময় নিশ্চিত হোন অ্যাপ্লিকেশনটির নির্মাতা সম্পর্কে। আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি ‘পাইরেটেড’কপি কি না তাও জেনে নিন। কারণ এরকম অ্যাপে স্মার্টফোনের জন্য ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার থাকে।

অপরিচিত এসএমএস রাখবেন না

অনেক স্মার্টফোন এসএমএস-এর মাধ্যমে ভাইরাস আক্রান্ত হয়। আপনার স্মার্টফোনটিতে অপরিচিত নাম্বার থেকে মেসেজ এলো যে আপনার ফোনটি ভাইরাসে আক্রান্ত। এমন মেসেজ খুললেই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে স্মার্টফোনটি। তাই সচেতন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর উচিত সন্দেহজনক টেক্সট মেসেজ এলেই তা মুছে ফেলা।

অপারেটিং সিস্টেম বা ওএস আপডেটেড রাখুন

এখন কিছুদিন পরপরই আপডেটেড ওএস পাওয়া যায়। এর মাধ্যমেও নিশ্চিত করতে পারেন আপনার স্মার্টফোনটির নিরাপত্তা। আপডেটেড ওএস সবসময় চেষ্টা করে স্মার্টফোনটিকে আরও সুরক্ষিত রাখার ও বিভিন্ন নতুন সেবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার। সুতরাং ব্যবহারকারীদের উচিত অপারেটিং সিস্টেমের নতুন ভার্সন বের হলেই স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করে নেওয়া।

‘ক্লাউড স্টোরেজ’সাবধানে ব্যবহার করুন

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ক্লাউড স্টোরেজ সুবিধাটি ব্যবহার করে সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। তবে সেবাটি আরও সতর্কভাবে ব্যবহার করতে হবে। ক্লাউড স্টোরেজ সেবাটির সঙ্গে একাধিক ফিচার ব্যবহার না করে পর্যাপ্ত ফাইল শেয়ার করা উচিৎ।

সর্বদা ডাটার ব্যাকআপ রাখুন

যেকোনো সময় ফোনটি নষ্ট, চুরি বা হারিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মূল্যবান ও ব্যক্তিগত তথ্য হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য ব্যাকআপ সিস্টেম ব্যবহার করুন। এতে করে দরকারি তথ্যগুলো ফিরে পেতে পারেন। আপনার ফোনটি হারিয়ে যায় বা চুরি হলে ‘রিমোট-ওয়াইপ ফিচার’ব্যবহার করে মুছে ফেলা যাবে ব্যক্তিগত তথ্য। এতে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে।

আর্থিক লেনদেনে সাবধান হোন

স্মার্টফোন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মাধ্যমে লেনদেন না করার পরামর্শই দেন। এতে করে ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত ডাটা অন্যের হাতে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর সবকিছুর পাসওয়ার্ডগুলোও নিজের কাছে সাবধানে রাখুন।

ডাটা এনক্রিপ্ট করুন

এনক্রিপশন বলতে ডাটাকে গোপন কোডে পরিণত করা বুঝায়। এনক্রিপশন ব্যবহার করে ডাটার নিরাপত্তা বাড়ানো সম্ভব হয়। এনক্রিপটেড ডাটাতে প্রবেশ করতে পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন পড়ে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সুবিধাটির জন্য সেটিংস থেকে সিকিউরিটি অপশন সিলেক্ট করে এনক্রিপ্ট চালু করতে পারবেন ব্যবহারকারী।

প্যাটার্ন লক রাখবেন

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহার করুন পাসকোড অথবা প্যাটার্ন লক। আপনার পাসকোড যদি সংখ্যামূলক হয়, তবে কোডটিকে চার ডিজিটের বেশি রাখুন। আকারে বড় এবং জটিল পাসকোড ব্যবহার করা বেশি নিরাপদ। পাসকোড বা প্যাটার্ন লকের মাধ্যমে নিরাপদ রাখুন আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/এমআর