ইনসাইড আর্টিকেল

ঝুলে রইলো খালেদা জিয়ার প্রার্থীতা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 13/12/2018


Thumbnail

খালেদা জিয়া আবারো ঝুলে থাকলেন আগামী সোমবার পর্যন্ত। সেদিন হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চে শুনানী হবে যে বিএনপির চেয়ারপারসন কারাদন্ডে দন্ডিত হওয়ার পরও নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়ার বিষয়টি। দুটি দুর্নীতি মামলায় কারাদন্ড হওয়ায় তিনি এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না , এটা প্রায়ই নিশ্চিত ছিল। প্রথমে রিটার্নিং অফিসার এবং পরে নির্বাচন কমিশন আগেই তার মনোনয়ন বাতিল করেছিল। ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ এবং বগুড়া-৭ , এই তিন আসন থেকে র্প্রাথী হওয়ার জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া ৫টি করে আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন। এ ছাড়াও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কখনই কোনো আসনে পরাজিত হননি বেগম খালেদা জিয়া। তাই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে কিন্তু দুনীর্তির মামলায় দন্ডিত হয়ে তার নির্বাচনে অযোগ্য হওয়াটা বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা মানতে না পারলেও ,কেন্দ্রীয় নেতারা এবার নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবেই উল্লেখ করছেন। আর আন্দোলনের মূল দাবি খালেদা জিয়ার কারামুক্তি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দন্ডিত হয়ে কারাগারে থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন করা হয়েছিল তাঁর বড় ছেলে এবং দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে । যদিও পুলিশের নথিতে তিনি পলাতক। অবস্থান করছেন লন্ডনে। আর দলীয় অভিভাবকের অভাবে যাতে দল পরিচালনায় অসুবিধা না হয় ,সেজন্য বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে গনফেরাম সভাপতি দেশের সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম ড. কামাল হোসেনকে অভিভাবক মেনেছেন।

 তিনটি আসনে নির্বাচনে অযোগ্য করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রীট করে দ্বিধাবিভক্ত রায় পাওয়ার পর নির্বাচন রাজনীতিতে নতুন প্রশ্ন যথেষ্ট উত্তাপ ছড়ায় ।  বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা আশাবাদী হয়ে ওঠে যে তাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার প্রার্থীতা ফিরে পাবেন। নেতারা এ নিয়ে বেশি উচ্চবাচ্য না করলেও সাধারন মানুষের ঔৎসক্য বেড়ে যায়। হাইকোর্টের দ্বিধাবিভক্ত রায়ের পর   রিট নিষ্পত্তির বিষয়টি শুনানির জন্য তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।  তিনি তৃতীয় বেঞ্চ হিসেবে মনোনীত করেন  বিচারপতি জে বি এম হাসানকে । কিন্তু বৃহস্পতিবার  তৃতীয় বিচারপতির প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। পরবর্তী শুনানি সোমবার। 

আবারো খানিকটা উত্তেজনা আছে এ নিয়ে । বিএনপির যেসব আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে মামলা লড়ছেন তারা মনে করেন খালেদা জিয়ার পক্ষেই যাবে উচ্চ-আদালতের রায় । অন্যদিকে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন আপিল বিভাগের যে রায় আছে যে দুর্নীতির মামলায় দন্ড হলে এবং সেই দন্ড আদালতের আদেশে স্থগিত না হলে সেই ব্যাক্তির নির্বাচনে অংশ নেযার কোনো সুযোগ নাই। এদিকে তৃতীয় বেঞ্চের বিচারপতির প্রতি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের অনাস্থা দেওয়াকেও অস্বাভাবিক বলেছেন তিনি। আর খালেদা জিযার আইনজীবীদের যুক্তি একজন জেষ্ঠ্য বিচারপতির দেয়া সিদ্ধান্ত সম্পর্কে শুনানী করতে পারেন না অপেক্ষাকৃত কনিষ্ট বিচারপতি।

বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি  ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রিটের শুনানি শেষে বিভক্ত আদেশ দেন। এতে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, রুলসহ মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।  সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। বেঞ্চের অপর বিচারপতি মোহাম্মদ ইকবাল কবির দ্বিমত পোষণ করে খালেদা জিয়ার তিনটি রিট খারিজ করে দেন।

এর আগে বিএনপির দুই প্রার্থী সিরাজগঞ্জ-২ থেকে রোমানা মাহমুদ এবং নাটোর-২ থেকে সাবিনা ইয়াসমিনের প্রার্থী সম্পর্কে লিখেছিলাম যে তাদের দুজনের স্বামী যদি আদালতের আদেশে প্রার্থীতা ফিরে পান তাহলে স্ত্রীদের কি হবে? কিন্তু সর্বশেষ উচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে ইকবাল মাহমুদ টুকু এবং রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার রীট খারিজ করে দিয়েছে।ফলে দুই নারীই এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে।


বাংলা ইনসাইডার/ এমআরএইচ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭