ইনসাইড থট

প্রতিটি হত্যা বাংলাদেশকে নিয়ে যায় পশ্চাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 14/12/2018


Thumbnail

আমি বরাবর লিখে এসেছি নির্বাচন হোক, রাজনীতি চলুক কিন্তু আমার সন্তানের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে নয়। আমার সন্তানের রক্তে আমি কারো ক্ষমতায় যাবার সিড়ি তৈরি করতে চাইনা।  

আমি আমার প্রায় লেখায় লিখেছি, একটু একটু করে এগিয়ে আসবে মহা বিপদ সংকেত।  অভিভাবকদের জন্য অনেক লেখায় লিখেছি, আপনারা নিজের সন্তানকে আঁচলের তলে নিয়ে যান, সন্তানের উপর প্রভাব বজায় রাখুন।  

নির্বাচন প্রচারণা শুরু হয়েছে।  লন্ডন, আমমেরিকা, বাংলাদেশ যেখানে বসে যে নেতাই নক্সা আঁকুন  না কেন, নিজেদের অপরাধ, নিজেদের পাপ মুছে ফেলার জন্য ওরা আপনার আমার সন্তানকে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করবে।  

সন্তান মৃত হবার পরে সেই সন্তানকে কোন দল কর্মী ঘোষণা করলো, কোন দল নেতা বানিয়ে দিলো, কোন দল বিভিন্ন পদে অভিষিক্ত করলো তাতে কিছুই এসে যায় না।  সন্তানকে যদি রাজনৈতিক নেতা হিসাবে দেখতেই হয় তাহলে নেতা হবার যে গুণাবলী, নেতা হবার জন্য যে শিক্ষা, নেতা হবার জন্য যে প্রজ্ঞা, নেতা হবার জন্য যে সহনশীলতা, নেতা হবার জন্য যে ধৈর্য, নেতা হবার জন্য যে সংস্কৃতি, নেতা হবার জন্য ত্যাগী,  নেতা হবার জন্য যে বৈশিষ্ট্য, নেতা হবার জন্য যে দেশপ্রেম প্রয়োজন আগে সেই দিকগুলি অর্জন করার জন্য সহায়তা করুণ।  

কোন স্বার্থবাদি, কোন পাপি, কোন বিদেশে পলায়নরত সন্ত্রাসী, কোন ক্ষমতালিপ্সু আত্মার জন্য নিজের সন্তানের হাতে মানুষ মারার স্লোগান ধরিয়ে দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দেবেন না।  

রাজনীতি এখন যে পর্যায়ে, সেখানে দাঁড়িয়ে এমন কোন মানুষ নেই যে কোন দলের কর্মি, নেতা, উপনেতা, পাতি নেতা নয়। আর তাই হত্যা হবার পরেই মা বাবা যখন গগন বিদারী চিৎকার দেয়, দল গুলি তখন তাকে নেতা, কর্মি হিসাবে সনদ দেয়।  যখন সে কাউকে হত্যা করে তখন বাবা মা লজ্জায় মাটিতে মিশে যায়, আর দলগুলি তার পরিচয় গোপন করে।  

প্রতিদিন যায়, আর লাশের সংখ্যা বৃদ্ধির সংকেত দেয়। আমি ড. কামালের নিকট এই প্রশ্ন রাখতে চাই, আপনি নিজে গণমানুষের নেতা না হয়ে, একজন নেতার বৈশিষ্ট্য এবং গুণাবলী অর্জন না করে, শুধুমাত্র সুশীল তকমার মালিক হয়ে অধিকার ও পরিবর্তনের প্রশ্নে উদিয়মান তরুন প্রজন্মকে যে ভাবে রাস্তায় নামার হুংকার দিলেন সেটা কতটা যুক্তিযুক্ত হয়েছে? 

আপনার কি উচিত ছিলনা যে, পরিবর্তনের আন্দোলনে কোন প্রজ্ঞানিয়ে মাঠে নামতে হয় সেই শিক্ষা আগে তাদের প্রদান করা?  

আমি ডা.জাফর উল্লাহ্‌`র নিকট জানতে চাই বঙ্গবন্ধুর অনুদানে নিজে জাফর উল্লাহ্‌ হয়ে যে পরিবর্তনের কথা বললেন সেই পরিবর্তনে কেন আজ নবীন প্রজন্ম মুখোমুখি?  আপনি কি বুঝতে পারেন নি যে, যে পরিবর্তনের জন্য এত জোরে চিৎকার দিলেন সেই পরিবর্তনের জন্য সত্যি যদি কোন ভাবে নির্বাচিত হন তাহলে সেখানে আপনাদের উপপস্থিতি খুব বেশি হলে ১০ জন? বাকি সবটাই স্বাধীনতা বিরোধিদের হাতে?  তাহলে দেশের সর্বত্র যে হামলা প্রতি হামলার বাতাস বইতে শুরু করেছে সেখানে আপনারা নেই কেন? 

আমি আসম আব্দুর রবের নিকট প্রশ্ন করতে চাই,  প্রতিটা বক্তব্যে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে মূলত আপনি কাদের মুখোমুখি করেছেন?  কাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আপনি নিজের অতৃপ্ত চাওয়াকে পূর্ণতা দিতে চেয়েছেন?  

আমি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই,  দাত চিবিয়ে চিবিয়ে আপনি কথিত কোন লাশ, কার লাশ চেয়েছেন? বুকে হাত দিয়ে বলুনতো একজন নেতার গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য কিকি সেটা আপনার জানা আছে কি না?  

আসলে এসব প্রশ্নের উত্তর আপনাদের কারো নিকটে নেই।  কারণ আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বাধীনতা বিরোধি নির্বাচনে যাচ্ছে, চার নেতার হত্যাকারীর স্ত্রী নির্বাচনে যাচ্ছে, আরো অনেকেই বাংলাদেশের শাসনভার নেবার জন্য রেসে আছে যারা কেউ জানে না আসলে রাজনীতি কি, রাজনীতি আর প্রজন্মের হাতে অস্ত্র এই দুইয়ের পার্থক্য কোথায়, তারা নিজেরা জানেনা মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে পররাষ্ট্র নিতি কি হওয়া উচিত, তারা জানে না আসলেই সামরিক সক্ষমতা কি, তারা নিজের জীবনে সংক্ষিপ্ত সিদ্ধান্ত নিতেই বিচলিত হয়ে পড়ে, সেখানে দেশের জন্য সুদুর প্রসারী সিদ্ধান্ত নেবে কি ভাবে?

লাশের পরে লাশ পড়বে, আর আপনারা একে অন্যের উপর দোষারোপ করেই যাবেন,  এছাড়া আর কিছুই করার নেই আপনাদের।  একটু লক্ষ করলেই দেখা যাবে আপনারা অলরেডি অনেকটাই চুপ হয়ে গেছেন, কারণ বল ঠেলে দিয়েছেন উদীয়মান যুকদের পায়ে।  এরপর যদি সত্যি বাড়াবাড়ি কিছু হয় তাহলে আপনাদের দেশে পাওয়া যাবে না অনেককেই এটা নিশ্চিত।  

আপনারা খুব ভালো ভাবেই জানেন, এক একটি লাশ পড়বে আর বাংলাদেশ একটা একটা কদমে পিছনের দিকে চলে যাবে।  লাশ কে হলো, কে লাশ তৈরি করলো কিছুই যায় আসে না আপনাদের।  আপনাদের পরিবর্তনের কথা বলে মাঠে নামা, আর নমিনেশন পক্রিয়ায় বাংলাদেশ বিরোধী অবস্থান বলে দেয়, হ্যা আপনারা পরিবর্তন একটা চান তবে সেটা বাংলাদেশকে পিছনে ঠেলে দেবার পরিবর্তন।  কে জানে, হয়তো এমনি নির্দেশে নিজেদের বিক্রি করেছেন আগ্রাসনের নিকট।  

মো: তৈমুর মল্লিক ভূঁইয়া

কলামিস্ট

সাধারণ সম্পাদক

দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭