ইনসাইড থট

সাংবাদিক ভাস্করের বাক স্বাধীনতা হরণ প্রকাশ্যে!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 15/12/2018


Thumbnail

হায়রে বাক স্বাধীনতা, আওয়ামী লীগ বাক স্বাধীনতাকে বাঁশ বাগানের মাথার উপর উঠিয়েছে এমন ছবক দিয়ে যখন লম্বা লগি হাতে পরিবর্তন চাওয়া নেতারা ছুটে চলেছেন, ঠিক সেই সময় নেতাদের নেতা ড. কামাল হোসেন প্রকাশ্যে জনসমুদ্রে অনেক সাংবাদিকের মধ্যে দাঁড়িয়ে কেড়ে নিলেন যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক ভাস্করের বাক স্বাধীনতা। 

তিনি শুধু সেখানেই ক্ষান্ত নন, কত টাকার বিনিময়ে সে রাজাকার বিষয়ে প্রশ্ন করছে সেটা জানতে চেয়ে অপেক্ষাকৃত বাক স্বাধীনতার অধিক ব্যবহারকৃত সাংবাদিক সম্প্রদায়ের একজন সাংবাদিকের নাম নিজের মনের গহীনে তুলেও রেখেছেন। 

প্রশ্ন হলো, কেন রেগে গিয়ে সে সাংবাদিকের নামটি সংরক্ষণ করলেন? সাংবাদিক কি সত্যি তার বর্তমান রাজনীতির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ফেলেছিলেন? 

আমি আমার পূর্বের কয়েকটি বাক স্বাধীনতা বিষয়ে লেখায় লিখেছিলাম বাক স্বাধীনতার সঙ্গে সবচেয়ে বড় সংঘাত হলো আইনের।  আইন বলে আইন লঙ্ঘনকারীকে শাস্তির কথা।  অন্যদিকে বাক স্বাধীনতা কখনও কখনও আইন মানেনা।  সংঘাত ঠিক সেখানেই। 

ড. কামাল নিঃসন্দেহে একজন বিজ্ঞ আইনজীবী।  তাই তিনি বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেবার কথা বলে যতোই প্রতিশ্রুতি দিক সেটা তিনি রাখতে পারবেন না সেটাই স্বাভাবিক।  বরং এই ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ আরো কঠোর হবে বলাই যায়। 

কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিলো, ঐক্যফ্রন্ট বাক স্বাধীনতা এমন দেয়া দেবে, যেখানে সেখানে যে যা খুশি বলবে, ট্রল বানাবে, যা ইচ্ছা তাই করবে।  কিন্তু আজকে সাংবাদিক ভাস্করের প্রতি তার হুংকার কিসের আলামত দেয় সেই প্রশ্ন রাখা যেতেই পারে। 

আজ তিনি এমন এক স্থানে দাঁড়িয়ে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক ভাস্করের বাক স্বাধীনতা হরণ করলেন প্রকাশ্যে যার একটু দূরেই শায়িত সেই সকল বুদ্ধিজীবী যারা তাদের বুদ্ধি, মেধা, মুখ এবং কলমের শক্তির জন্য বুদ্ধিজীবী হয়েছিলেন আর সেই কারণেই আলবদর বাহিনীর সরাসরি সম্পৃক্ততায় কেড়ে নেয়া হয়েছিলো তাদের জীবন।

কোন পরিবর্তনের কথা বলে আজ তারা দেশকে উত্তাল করার চেষ্টা করছেন, কোন পরিবর্তনের কথা বলে তারা এগিয়ে চলেছেন নির্বাচনের দিকে জানিনা।  তবে যে পরিবর্তনের জন্যই হোক, আজ তিনি বুদ্ধিজীবীদের পাশে দাঁড়িয়ে এক সাংবাদিককে হুমকি প্রদান করলেন তা মাথায় আসে না। 

দুষ্টু ছেলেদের মারামারি, সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী আর ড. কামালের প্রকাশ্যে কথা বলার মধ্যে পার্থক্য দেখা যাবে সেটাই কাম্য।  কিন্তু সব যদি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় তাহলে আর পার্থক্য কোথায়?? বাঙালী কোন ট্রাপে পড়তে যাচ্ছেনা তো? 

 

কলামিস্ট

সাধারণ সম্পাদক

দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন

 

বাংলা ইনসাইডার/এমআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭