নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 17/12/2018
ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে সকল জাতীয় বীরদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অন্তর্ভুক্ত করে স্কুল, কলেজে পড়ানো হবে এবং গবেষণা করা হবে বলে ইশতেহারে ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এখন প্রশ্ন হলো জাতীয় বীর কারা। যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাতকে সঙ্গে নিয়ে গড়া ঐক্যফ্রন্ট জাতীয় বীর বলতে আসলে কাদেরকে বুঝিয়েছে?
আমরা বাংলাদেশি হিসেবে জাতীয় বীর হিসেবে তাদেরকেই সম্মানিত করি যারা দেশের স্বাধীকারের জন্য লড়ে গেছেন। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট তাদের ইশতেহারে জাতীয় বীর বলতে কোথাও ‘মুক্তিযোদ্ধা` কিংবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের কথা উল্লেখ করা হয় নি। রাজনৈতিক মতাদর্শে, জাতীয় বীরের সংজ্ঞা বিভিন্ন ধরনের। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলগুলো জাতীয় বীর বলতে বোঝায় যারা দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। আবার যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াত ইসলামের কাছে জাতীয় বীর বলতে বোঝায় ৭১’র ঘাতক গোলাম আজম, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, কাদের মোল্লার মতো মানুষগুলো যারা প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে কাজ করেছিলেন ১৯৭১ সালে।
সেই জামাতকে সঙ্গে নিয়ে গঠিত হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিএনপির পর সবচেয়ে বেশি আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়বে জামাতের প্রার্থীরাই। তাহলে ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে কি তবে জামাতের ভাষায় ‘জাতীয় বীর’ খ্যাত যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজম, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, কাদের মোল্লা. মীর কাশেম, আলী আহসান মোহাম্মদ মোজাহিদরাও জাতীয় বীরের খেতাব পাবে?
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭