ইনসাইড বাংলাদেশ

বিএনপির ইশতেহার মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তামাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 18/12/2018


Thumbnail

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপি ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে দুটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত, সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ‘রাষ্ট্রের সম্মানিত নাগরিক’ হিসেবে ঘোষণা করা এবং মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নের নামে দুর্নীতির অবসান ঘটানো হবে। মূল্যস্ফীতির নিরিখে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা বৃদ্ধি করা হবে।

দ্বিতীয়ত, দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিত করে সেসব স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিবিড় জরিপের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং তাদের যথাযথ মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।

২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের মন্ত্রীসভায় দুইজন চিহ্নিত রাজাকারকে স্থান দিয়েছিল। জামাতের এই দুজন হলেন মতিউর রহমান নিজামী এবং আলী আহসান মুজাহিদ। পরবর্তিতে আওয়ামী লীগ আমলে যুদ্ধাপরাধের দায়ে এই দুইজনের আদালতের রায়ে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। যুদ্ধাপরাধীর দল হিসেবে জামাতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়। নিবন্ধনহীন জামাতকে বিএনপি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে জামাতকে বিএনপি ২২টি আসন ছেড়ে দিয়েছে নির্বাচন করার জন্য। অনেকের অভিযোগ জামাতকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করছে বিএনপি। যুদ্ধাপরাধীর দায়ে অভিযুক্ত জামাতের সঙ্গে জোটবদ্ধ বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারে মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির কথা বলা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তামাশার সামিল বলেই অনেকে মনে করছেন। এছাড়াও বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারের কোথাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গেও কোন কিছুর উল্লেখ নাই।  

বাংলা ইনসাইডার/আরকে/এমআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭