নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 19/12/2018
ভারতে পরিবেশ দূষণ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা কম হয়নি। দেশটির দূষণ এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, প্রতিবছর সেখানে ১০ থেকে ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় পরিবেশ দূষণের কারণে। ইয়েল এবং কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি তালিকায় দেখা গেছে, বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৭৭। দেশটির পরিবেশ দূষণ শুধু ভারতীয়দের নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই হুমকি বলে জানিয়েছে বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ‘দি ইকোনোমিস্ট’। কিন্তু ভারতের দূষণ কীভাবে বিশ্বকে বিপদের মুখে ফেলছে?
ভারতের নদীগুলোতে বিপুল পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক ডাম্প করা হয়। এর মাধ্যমে দেশটি মাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধের জন্য একটি হটস্পট তৈরি করছে। যা পুরো মানবজাতির জন্যই ক্ষতিকর। ২০০০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ভারতের কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ বেড়েছে ৬ শতাংশ হারে। সারা বিশ্বে সামগ্রিকভাবে এই হার ১ দশমিক ৩ শতাংশ। আর চীনে এটা ৩ দশমিক ২ শতাংশ। কার্বন ডাই অক্সাইডের নিঃসরণ বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। একারণে পরিবেশ রক্ষায় শিল্পোন্নত দেশগুলো কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের হার কমানোর উপায় খুঁজছে। সেখানে ভারত এই হার বাড়িয়েই চলেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীর সব থেকে বেশি দূষিত ১৫টি শহরের ১৪টিই ভারতের। দেশটির রাজধানী দিল্লির বাতাসে সবসময়ই এক ধরনের পোড়া গন্ধ ভেসে বেড়ায়। সব ধরনের ময়লা আবর্জনা এখানে আগুনে জ্বালানো হয়। মৃত ব্যক্তিদের দাহ করার জন্য এই শহরে প্রতি বছর ৪ লাখ গাছ পোড়ানো হয়। শহরটির ৭০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ পানিই দূষিত।
ভারতের রাজনীতিবিদরা দূষণের কারণ হিসেবে দরিদ্রতাকে মূল কারণ হিসেবে দাঁড় করান। এই অজুহাত কতটা গ্রহণযোগ্য, যেখানে চরম দরিদ্র দেশগুলোর থেকেও পরিচ্ছন্নতায় ভারত অনেক পেছনে?
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭