ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নতুন নীতিতে কতদূর এগুবে কিউবার বাণিজ্য?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 22/12/2018


Thumbnail

সমাজতান্ত্রিক দেশ কিউবায় এক সময় ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসা বাণিজ্য একেবারেই নিষিদ্ধ ছিল। পুঁজিবাদের ঘোর বিরোধী এই দেশটি ফিদেল কাস্ত্রোর বিদায়ের পরই কিছুটা নতুন পথে হাঁটতে শুরু করে। বছর আটেক আগে দেশটির সরকার মানুষকে ব্যবসা বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধকরণের নীতি গ্রহণ করে। এই আট বছরে প্রায় ৬ লাখ কিউবান বিভিন্নভাবে আত্মনির্ভরশীল হয়েছেন। রেস্তোরাঁ, বিউটি পার্লার, বেকারি কিংবা বুটিক শপের মাধ্যমে মানুষ রাতারাতি তাদের ভাগ্য বদলেছেন। সম্প্রতি কিউবা বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান বিষয়ে নতুন আইন গ্রহণ করেছে। যে আইনে এমন অনেক শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে যেগুলোই কি না ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তরায় হিসেবে দেখা দিচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই নীতি কি দেশের ব্যবসা-বানিজ্যকে গলা টিপে ধরবে নাকি আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে?

নতুন আইন অনুযায়ী, একজন কিউবান ব্যক্তিগত ব্যবসার জন্য একটির বেশি লাইসেন্স পাবেন না। অর্থাৎ যিনি একই সঙ্গে ক্যাফে এবং বইয়ের দোকান চালাতেন তাকে যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে। নতুন আইনের আরেকটি ধারা হলো, রেস্তোরাঁ বা খাবার হোটেলগুলোতে ৫০টির বেশি আসন রাখা যাবে না। রেস্তোরাঁ মালিকরা ২০ জনের বেশি কর্মচারী রাখতে গেলে বাড়তি অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া ব্যবসায়ীদের তাদের আয়ের ৮০ শতাংশ নির্দিষ্ট ব্যাংকে জমা দিতে হবে। নিয়োগকর্তাদের তাদের কর্মীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি থাকতে হবে। কোনো ব্যবসায় মালিক যদি তাঁর কর্মীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক বা অন্যায্য আচরণ করেন তবে তাঁর ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিল করার কথাও বলা হয়েছে নতুন আইনে। নতুন কিউবার নতুন আইন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারবে কি?

দীর্ঘদিন পর ব্যবসার পরিবেশ তৈরিতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও এত শর্তসাপেক্ষে দেশটির অর্থনীতি কতটুকুই বা এগুতে পারবে?

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭