নির্বাচন বানচালে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে আইএসআই?

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সব সময়ই তৎপর ছিলো পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আইএসআই-র সাবেক প্রধান আদালতে জবানবন্দী দিয়ে বলছিলেন যে ২০০১ এর নির্বাচনে আইএসআই বিএনপিকে অর্থ দিয়েছিল। আই এস আই এর আগের মতো অর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য নেই। তারপরও কৌশলগত কারণে বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাংলাদেশে ভারতের প্রভাব বৃদ্ধির ফলে এ অঞ্চলে পাকিস্তানের কৌশলগত পরাজয় ঘটছে। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উস্কে দেওয়ার জন্য আইএসআই বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতো।

জানা গেছে, এবারের নির্বাচনকে পাকিস্তানি সংস্থা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছে। কারণ গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এই নির্বাচনকে এই অঞ্চলে (বাংলাদেশে) পাকিস্তানের অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন হিসেবেই মনে করছে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর থেকেই পাকিস্তান বাংলাদেশে নতুন প্রভুত্ব শুরু করেছিল বিএনপির হাত ধরেই। জানা গেছে, এবার নির্বাচনে আইএসআই এবং পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বন্ধু বিএনপিকে সহায়তার জন্য নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। কেবল আর্থিক অনুদান নয়, তথ্য প্রদান এবং কৌশলগত সহায়তা প্রদানও করছে। সরকারের গোপন অনেক পরিকল্পনা এবং তথ্য আইএসআইয়ের মাধ্যমেই বিএনপির কাছে যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রেও আইএসআই বিএনপির উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। এছাড়াও আইএসআইয়ের সহায়তায় বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একটি মাঠ পর্যায়ের জরিপ করা হয়েছে। এই জরিপে বিএনপির অবস্থা ভালো বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিএনপিকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে রাখার কৌশল গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের।

একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, নির্বাচনের ব্যয় নির্বাহের জন্য আইএসআই বিএনপিকে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে। তবে, ঢাকায় নয় ঐ টাকা দেয়া হয়েছে লন্ডনে তারেক জিয়াকে। সরকারের কড়া নজরদারীর কারণে, সরাসরি লন্ডন থেকে টাকা আসছে বলে জানা গেছে। এই টাকা সৌদি আরব, দুবাই এবং কুয়েত থেকে আসছে বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো খতিয়ে দেখছে যে, আই এস আই যে টাকা দিয়েছে তা কী কারণে ব্যবহৃত হতে পারে। একটি সূত্র আভাস দিয়েছে যে, নির্বাচন প্রচারণা নয় বরং নির্বাচন বানচালের ধ্বংসাত্মক তৎপরতার জন্য এই অর্থ ব্যবহার হতে পারে। এজন্যই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। 

বাংলা ইনসাইডার/এমআর