ইনসাইড পলিটিক্স

তারেকের নির্দেশেই ড. কামাল কাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 25/12/2018


Thumbnail

ড. কামাল হোসেন ‘ভাড়াটে গুণ্ডা’দের মতো আচরণ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনের একাধিক ব্যক্তি। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে ড. কামাল হোসেনের আচরণ ছিলো মারমুখী, আক্রমণাত্মক। বৈঠকে উপস্থিত নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন,‘ ড. কামাল হোসেন বয়:প্রবীণ মানুষ। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও তার সঙ্গে শ্রদ্ধাপূর্ণ আচরণ করেন। ড. কামালের বক্তব্য আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে শুনি। কিন্তু আজ উনি ছিলেন সম্পূর্ণ অন্যরকম।’ বৈঠকে উপস্থিত একজন বলেন,‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার কোন ব্যাক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে অসম্মান করা কারোরই উচিত নয়।’ বৈঠক সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, ড. হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সদস্যরা বৈঠকের শুরুতেই নির্বাচন কমিশনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য এবং গালাগালি শুরু করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন,‘আপনারা ঢালাওভাবে অভিযোগ না করে তথ্য প্রমান দিন। আমরা ব্যবস্থা নেবো। এ সময় ড. কামাল হোসেন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। বলেন,‘আমি বলছি, এটাই প্রমান।’ এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন,‘আপনি তো একটি পক্ষ। আপনার বক্তব্য তো আর প্রমান হতে পারে না।’ এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পরে। বৈঠকে উপস্থিত কেউ কেউ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি ‘আক্রমণাত্মক’ ভাষা ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে তারা বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন।

বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, বৈঠকে যোগ দেয়ার আগে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার দীর্ঘ টেলি আলাপ হয়। নির্বাচন বানচালে তারেক জিয়ার যে লীল নকশা তা বাস্তবায়নের জন্যই পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা স্বীকার করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, তারেক জিয়া ড. কামাল হোসেনকে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে একটা সিন ক্রিয়েট করতে বলেন। নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে ওয়াক আউটের মধ্যে দিয়ে তারেক জিয়ার পরিকল্পনার প্রথম ধাপ পুরো হলো বলে ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা বলেছেন। এর ফলে নির্বাচন বর্জনের পথ প্রশস্ত হলো। এখন শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপি-জামাত-ফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন করে, তাহলে তাঁরা এই বৈঠককে সামনে আনবে। তাঁরা বলবে, নির্বাচন কমিশন আগে থেকেই পক্ষপাতে দুষ্ট ছিলো। এই নির্বাচন কমিশন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এটা বলে তাঁরা নির্বাচন বর্জনের সার্টিফিকেট নেবে। দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক এবং কুটনীতিকদের সহানুভূতি আদায়ের জন্যেই এই নাটক সাজানো হয়েছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐক্যফ্রন্টের একজন নেতা বলেছেন, ‘ড. কামাল এখন তারেকের অধীনস্থ কর্মচারীতে পরিণত হয়েছেন। নিজে নির্বাচন করছেন না। অথচ তারেকের নির্দেশে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সব কিছুই করছেন।’ বিএনপির একজন বলেছেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হলে কুটনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক মহলে তা গ্রহণযোগ্য হতো না। এজন্যেই তারেক জিয়া ড. কামাল হোসেনকে ভাড়া করেছেন।’



বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭